ধর্ষণে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২; সময়: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ |
ধর্ষণে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ধর্ষণের শিকার ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে দফায় দফায় গ্রাম্য সালিশ করেও ফল না পেয়ে মেয়েটির বাবা ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত ধর্ষক সোহেল খান (৩০) উপজেলার মাদারিয়া গ্রামের গোলাপ খানের ছেলে। অন্যদিকে সোহেলের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল পেশায় একজন গাড়িচালক।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক সোহেল একই গ্রামের ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাতায়াতের সময় নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করে। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী।

তার শারীরিক গঠনের পরিবর্তন দেখে তার পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে এবং গত ২৮ মে ডাক্তারি পরীক্ষা করলে দেখা যায় সে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষক সোহেল ও তার পরিবারকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সোহেল পালিয়ে যায়।

ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে, সোহেল স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে নানা সময়ে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে এক দোকানে সওদা কিনে ফেরার পথে সোহেল জোর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পাশের এক বাড়িতে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া ভয় দেখিয়ে হুমকি দিত এবং বিয়ের কথা বলে মাঝে মধ্যে ধর্ষণ করত। সম্প্রতি মাসখানেক আগে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমাকে চড় থাপ্পড় মারে।

পরে সে আমাকে বিয়ে করবে না বলে গর্ভের সন্তান ফেলে দিতে বলেন। গর্ভের সন্তান ফেলে না দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানাই।

ধর্ষিত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমি দিনমজুরের কাজ করি। ঠিকমতো বাড়িতেও থাকা হয় না। মেয়ের মাও কানে কম শুনে। সোহেল আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় আসা-যাওয়া করত।

এ নিয়ে তাকে বহুবার নিষেধও করেছি। কিন্তু সে মানেনি। পরে জানতে পারি আমার মেয়ের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের কথা।

এ নিয়ে তার পরিবারকে জানালে উল্টো আমার মেয়েকে সোহেল মারধর করত। এছাড়া সোহেল প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকি দিয়ে আসছে নানাভাবে। যার কারণে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।

ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মেয়ের বাবা গত শনিবার রাতে ভূঞাপুর থানায় এসে একটি মামলা করেন। মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোহেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে