সমস্যায় জর্জরিত রাবির মাদার বখ্শ হল

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২; সময়: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ |
সমস্যায় জর্জরিত রাবির মাদার বখ্শ হল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হল। সিট বাণিজ্য ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সারা বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনার কেন্দ্রে থাকে হলটি। এছাড়াও হলটিতে সংকটেরও কোনো শেষ নেই।

গত তিন দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে হলের ওয়াইফাই সংযোগ। এছাড়াও হলের তিনটি ব্লকের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি টিউবওয়েল। ফলে খাবার পানির সংকটে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। এসব সংকটের বিষয়ে হল প্রশাসনের নিরুদ্বেগ থাকার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হলের কোনো ওয়াইফাই রাউটারেই সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের খাবার পানির জন্য হলের ভিতর তিনটি টিউবওয়েল থাকলেও শুধু মসজিদের সামনের একটি টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করা যায়। দ্বিতীয় ব্লকের সামনে আরেকটি টিউবওয়েল থাকলেও সেটার পানিতে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকার কারণে ব্যবহার করার অনুপযুক্ত বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

সংযোগ চালু থাকার সময়ও তা ছিলো ‘নামমাত্র’ ওয়াইফাই, এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তাদের অভিযোগ, এই ইন্টারনেট দিয়ে কোনো সাইটই ঠিকমতো ব্রাউজ করা যায় না। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডাউনলোড দেওয়ার কথা তো চিন্তাই করা যায় না।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবাদুল্লাহ্ মিয়া বলেন, ‘আমাদের হলের যে ওয়াইফাই, তাতে মাঝেমধ্যে কানেক্ট করাই যায় না। এই ওয়াইফাই দিয়ে কোনো ক্লাস করা বা দরকারী ডকুমেন্টস ডাউনলোড দেওয়া যায় না। একটা ব্লকে মাত্র দুইটা করে রাউটার। কোনো ব্লকে একটা করে রাউটার আছে। ফলে রাউটারের আশেপাশের দুই একটি রুম ছাড়া অন্যগুলোতে ইন্টারনেট পাওয়া যায় না।’

খাবার পানির সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ১০১ নম্বর রুম থেকে শুরু করে ৪৫৬ নম্বর রুমের শিক্ষার্থীরা মাত্র একটি টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করে৷ একটা টিউবওয়েলের উপর এতো চাপ থাকার কারণে দুই একদিন পরপরই ওই টিউবওয়েলটিও নষ্ট হয়ে যায়। তখন আর পানিই পাওয়া যায় না।

হলের আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, আমাদের সমস্যা নিয়ে হল প্রশাসনের কাছে গিয়ে কখনোই কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। একটা হল কিভাবে চলছে, সেদিকে কারো কোনো নজর নেই। সিট সংক্রান্ত ঝামেলায় প্রাধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি ‘উল্টাপাল্টা’ বুঝিয়ে বিদায় করেন। অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুতই সমাধান হবে। আসলে কাজের কাজ কিছুই হয় না।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসাইন বলেন, ওয়াইফাই সমস্যার কথাটি আমি অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি আইটি সেন্টারে জানানো হয়েছে। টেকনিক্যাল কারণে মেইন লাইন থেকে এসমস্যাটা হয়েছে বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন। তারা সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু দিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এ সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া পানি সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, পুরো হল জুড়ে একটা টিউবওয়েল যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা খাবার পানি সংগ্রহ করে। এতে কিছুটা সমস্যা হয়। তবে এসমস্যা থেকে শিক্ষার্থীদের উত্তরণের জন্য সাবমারসিবল সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা সেখান থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারেন বলে জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে