গায়িকা নদী যখন রক্তযোদ্ধা

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২; সময়: ৫:০৮ অপরাহ্ণ |
খবর > বিনোদন
গায়িকা নদী যখন রক্তযোদ্ধা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : তরুণ গায়িকা মৌমিতা তাশরিন নদী এরইমধ্যে সু গায়কী দিয়ে শ্রোতা-সমালোচকদের নজর কেড়েছেন। ২০০৯ সালে ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার-আপ হওয়ার মধ্য দিয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।

বর্তমানে স্টেজ, টিভি লাইভ, রেকর্ডিং সব মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করছেন। গানের বাইরে একটি মানবিক কাজ করেও মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন রাজশাহীর এই কন্যা।

১৮ বছর বয়স থেকে নিয়মিত রক্তদান করছেন নদী। এ পর্যন্ত তিনি ঢাকা-রাজশাহী মিলিয়ে ২৫ বারের বেশি রক্ত দিয়েছেন। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকেও বিষয়টি জানিয়েছেন এই রক্তযোদ্ধা। আর সেখানে একের পর এক মানুষের প্রশংসাসূচক মন্তব্যে ভাসছেন গায়িকা।

নদী বলেন, ‘বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়ার জন্মদিনেই আমি প্রথম রক্তদান করেছিলাম। এরপর বেশ কয়েকটা জন্মদিন আমি রক্তদানের মাধ্যমে উদযাপন করেছি।

আজ অবধি প্রতি ৪ মাস পর পর অথবা কারো জরুরি প্রয়োজনে রক্তদানের কাজটি অব্যহত রেখেছি। আমার ব্লাডগ্রুপ ‘ও-নেগেটিভ’। এবং আলহামদুলিল্লাহ ব্লাড দিয়ে কখনো কোনো শারিরীক সমস্যা হয়নি।’

এই গায়িকার ভাষ্যে, ‘আমরা জানি, মানব শরীরে প্রতি চার মাস পর পর রক্ত পিউরিফায়েড হয় বা সহজভাবে বললে বদলে যায়। একজন সুস্থ মানুষ প্রতি চার মাস পর পর রক্তদান করলে শারিরীক কোনো ক্ষতি হয় না।

ভেবে দেখুন, নরমালি আমাদের রক্ত ৪ মাস পর যেহেতু বদলে যাবেই, তাহলে আমরা কেনো মাত্র এক ব্যাগ রক্তদান করে আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাবো না? স্রস্টার রহমতে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীর অফুরন্ত রক্তের উৎস। অতএব কেনো আমি তা থেকে আরেকজনের উপকার করবো না?’

২৫ বারের বেশি রক্তদান করেছেন জানিয়ে ‘সেরাকণ্ঠ’ খ্যাত শিল্পী বলেন, “এ পর্যন্ত আমি ঢাকা-রাজশাহী সব মিলিয়ে ২৫ বারের বেশি রক্তদান করেছি। এবং বিশ্বাস করুন, এটা অন্তরে ভীষণ শান্তি দেয়! রক্তদান বিষয়টা মানবিক এবং গুরুত্বপূর্ণ।

অবশ্যই এটা কোনো ‘শো-অফ’ না। শরীর থেকে এক ব্যাগ ব্লাড চলে যাওয়াটা কোনো শো-অফের বিষয় না। কারো কাছে এটা যদি ‘শো-অফ’-ও হয়, তবুও আমি মনে করি ভালো কাজের প্রচার (তাদের ভাষায় শো-অফ) বেশি বেশি হওয়া উচিত।”

নদী বলেন, ‘গত ঈদে বিশেষ করে মোটরবাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে অনেক বেশি। একজন আহত ব্যক্তি বা তার পরিবারই জানে, প্রয়োজনের মুহুর্তে এক-দুই ব্যাগ রক্ত কতখানি মহামূল্যবান। ১৮ কোটি মানুষের দেশে মাত্র কয়েক হাজার ব্যাগ ব্লাডের চাহিদা পূরণ হবে না, এটা মানতে কষ্ট হয়।’

সবাইকে রক্তদানের আহ্বানও জানান মেধাবী এই গায়িকা, ‘চলুন, আমরা প্রতি চার মাস পর পর রক্তদান করি এবং প্রতি চারমাস পর পর একজন মানুষের জীবন বাঁচাই। যারা রক্তদান করেন, তাদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে গায়ক-সংগীত পরিচালক হাসিন হাসনাত হৃদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নদী। সবশেষ গত মার্চে ইউটিউবে নিজের নামে খেলা চ্যানেল থেকে নতুন গান-ভিডিও ‘হারানো যাবে না তোমায়’ প্রকাশ করেন তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে