ডিমের ডজন ২০০ ছুঁই ছুঁই

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২; সময়: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ |
ডিমের ডজন ২০০ ছুঁই ছুঁই

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাজারে দাম বেড়েছে প্যাকেট আটা, ডিম, সবজি ও মুরগির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৭ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, চায়না গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বটবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৭০ টাকা, মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, বন্যার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে সবজির দাম বেড়েছে।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

এ সব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। পেঁয়াজে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। আর একটু ভাল মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। বার্মার আদার কেজি ৬০ থেকে ৭০টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের খুচরা ও পাইকারি আটা বিক্রেতা বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মো. নাহিদ বলেন, একদিনের ব্যবধানে প্যাকেট আটার মূল্য কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট হাজার কেজি বিক্রি করছি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আটা-গম ভারত থেকে আমদানি বন্ধ ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আটার দাম বেড়েছে।

এসব বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়াও বন্যার কারণে ডিমের উৎপাদন কম থাকায় দাম বেড়েছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে