রাবিতে মুখোমুখি ছাত্রলীগ ছাত্রদল, কি বলছেন নেতারা?
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রদলের দুজন নেতার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রদলের দুজন আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহতরা হলেন, ছাত্রদলের রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ তাহের এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির রেদোয়ান।
হামলার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র দলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহির যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গতকাল সারাদেশে আমাদের ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ছিল। ছাত্রদলের রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ তাহের দলীয় টেন্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে বসে ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের কিছু কর্মী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দিয়ে আসতে ধরলে তাকে উদ্দেশ্য করে বলে তোরা ক্যাম্পাসে কেন। এই বলেই ১৬ থেকে ১৮ জন ছাত্রলীগের ছেলেরা তার উপর হামলা করে এবং রক্তাক্ত করে ।
এসময় তাহেরের সাথে থাকা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির রেদোয়ানকেও তারা এলোপাথাড়ি মারধর করে। তাদের দুজনকেই উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়। তবে আজ একজনকে হাসপাতাল থেকে শিফট করা হয়েছে।
কারা এই হামলার সাথে জড়িত জানতে চাইলে তিনি জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শাখা থেকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়। এছাড়াও তাদের আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শাকিল আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের সভাপতি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছিল।
তিনি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে এই হামলার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য দাবি জানান। এই হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচির বিষয়ে পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি ।
এই হামলার বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যারাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করবে তাদেরকেই প্রতিহত করা হবে। ছাত্রদল ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে । এ ধরনের চেষ্টা যারাই করবে তাদের গণধোলাই দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা হবে। স্বাধীনতা বিরোধী ছাত্রদল হোক বা শিবির হোক যারাই স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাবে কঠোর হাতে তাদের দমন করা হবে। কোন অপশক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ছাত্রদলের রাবি শাখা সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহি ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে এবিষয়ে গোলাম কিবরিয়ার অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে কি অভিযোগ করলো সেটা তাদের বিষয়। ২০ বছর আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ এই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের তো ছাত্রত্বই নেই। এই মেয়াদ উত্তীর্ণ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনও ক্যাম্পাসে থাকবে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমবেত হবে তা মেনে নেওয়া হবে না।
আমাদের কাছে খবর ছিল ছাত্রদলের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ার আর এজন্য আমাদের কর্মীরা গতকাল তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।