সিরাজগঞ্জে কৃষিপণ্য পরিবহনে বাড়ছে ঘোড়ার গাড়ির কদর

প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২২; সময়: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ |
সিরাজগঞ্জে কৃষিপণ্য পরিবহনে বাড়ছে ঘোড়ার গাড়ির কদর

নূর ইসলাম রোমান, তাড়াশ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কৃষিপণ্য পরিবহনে দিন দিন ঘোড়ার গাড়ীর কদর বাড়ছেই। বৃহত্তর চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমির মাঠগুলো বিলের মাঝে হওয়ায় কারনে ঘোড়ার গাড়ীতে ধান বহন করতে তুলনামূলক ভাবে খরচ কম লাগছে। এখানকার গ্রামীণ এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনে আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়ায় নির্মিত পরিবেশ বান্ধব ঘোড়ার গাড়ির কদর দিন দিন বাড়ছেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরাতন কাঠের চাকার পরিবর্তে পিকআপ গাড়ির পরিত্যাক্ত চাকা লাগিয়ে গ্রামবাংলার মানুষেরা তৈরি করেছেন এই নতুন আঙ্গিকের ঘোড়ার গাড়ি। শুধু কৃষিপণ্যই নয়, ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন রকমারি পণ্য পরিবহণে। এ কারণে ধান ও নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় কাজে ঘোড়ার গাড়ির উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে।

সরেজমিনে তাড়াশ উপজেলার দোবিলা গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, গ্রাম থেকে ফসলি মাঠ দুরে হওয়ায় সেখান থেকে ধান কাটা ও অন্যান্য বহনে শ্রমিকদের ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা দিতে হয় প্রতি বিঘায়। আর সে তুলনার ধান কাটতে শ্রমিকদের আড়াই হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দেয়া লাগছে। আর ঘোড়ার গাড়ী বহনে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এতে প্রতিবিঘা জমিতে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ বেঁচে যাচ্ছেন কৃষকেরা। তাই এ অঞ্চলের কৃষকেরা এখন ঘোড়ার গাড়ীতেই কৃষিপন্য বহন করছেন।

বেশ কয়েজন ঘোড়ার গাড়ি চালক জানান, আমরা সাধারণত মাইক্রো বাসের পুরোনো চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেছি। প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পরেছে ১৫-১৬ হাজার টাকা। আর ঘোড়া কিনতে লেগেছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। সারাদিন ঘোড়ার গাড়ি ভাড়া ঘাটিয়ে আমাদের দিন শেষে আয় হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা মত। যেখানে অন্য গাড়ি সাধারণত চলাচল করতে পারে না সেখানেই আমরা মালামাল বহন করে থাকি মর্মে জানান তারা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে