কে পাচ্ছে ফজলি আমের জিআই স্বীকৃতি

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২; সময়: ২:৩৬ অপরাহ্ণ |
কে পাচ্ছে ফজলি আমের জিআই স্বীকৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারাজিতে আটকে আছে ‘জিআই পণ্য’ হিসেবে রাজশাহী বাঘার ফজলি আমের স্বীকৃতি। আমটিকে নিজেদের অঞ্চলের দাবি দুপক্ষেরই।

আগামীকাল এ নিয়ে শুনানিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিজেদেরই থাকবে- বলছে উভয়পক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে বাঘার ফজলি আমকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতির আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। যাচাই-বাছাই শেষে গেলো বছরের ৬ অক্টোবর এ স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়। তবে, ফজলি আম নিজেদের অঞ্চলের দাবি করে নারাজি দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন। এতে আটকে যায় সনদ।

রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. আলীম উদ্দীন বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে আম চাষ হয় সেটি মূলত মালদা ফজলি আম। ২০০৮ সালে জিআই পণ্য হিসাবে এটির স্বীকৃতি নিয়েছে ভারত।”

ভৌগলিক পরিচয় নিশ্চিতে বাঘার ফজলি আমের ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। বাঘা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্যের কথা বলছেন রাজশাহীর গবেষকরা।

কৃষিবিদ ড. আলীম উদ্দীন বলেন, “জিআই করার জন্য আমরা সেখানে জমা দিয়েছি। সেটি হল বাঘা ফজলি এবং এটির ডিএনএ সিকোয়েন্সও জমা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ইতিহাস-সংস্কৃতি সবই জমা দেয়া আছে। এটি কিন্তু মালদা ফজলি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

রাজশাহীর ফল গবেষক ড. হাবিবুল আলম বলেন, “২০০ বছরের ইতিহাসে এটি বাঘা ফজলি হিসাবে পরিচিত। যেটা কলকাতার বিভিন্ন বাজারে সমাদৃত আছে এবং আমাদের দেশেও সমাদৃত।”

স্বীকৃতির দাবিতে অনড় চাঁপাইনবাবগঞ্জও। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, “আমাদের জোড় দাবি যে, রাজশাহী নয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পাবে।”

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে