সালিশ ডেকে ব্যবসায়ীকে মারধর এমপি রিমনের

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২; সময়: ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ |
সালিশ ডেকে ব্যবসায়ীকে মারধর এমপি রিমনের

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমনের। এবার সালিশে ডেকে এক মাছ ব্যবসায়ীকে মারধর করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।

গত শনিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা বাজার সংলগ্ন স্লুইসঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রিমন বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য।

এর আগে সালিশ ডেকে নারীর মাথায় বিষ্ঠা ঢেলে দেয়া, স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, একজন নারী আইনজীবীসহ একাধিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে এমপি রিমনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, ফোরকান মিয়া নামে ওই মাছ ব্যবসায়ী বাকিতে সিগারেট না পেয়ে মারধর করেছিলেন এক দোকানিকে। এ ঘটনায় নালিশ পেয়ে সালিশ ডাকেন এমপি রিমন। এরপর শাস্তি হিসেবে নিজেই চড়-থাপ্পড় দেন অভিযুক্ত ফোরকানকে। ভুক্তভোগী দোকানির নাম সোহেল। তার বাড়ি উপজেলার হরিণঘাটা বাজারসংলগ্ন এলাকায়।

ঝিনতলা গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি নিজ বাড়ির পাশে মুদি ও মনিহারির দোকান রয়েছে তার। তাকে মারধরে অভিযুক্ত ফোরকানের বাড়িও একই এলাকায়।

ফোরকান অভিযোগ করে বলেন, তিনি বরগুনার সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সুলতানা নাদিরার সমর্থক। এমপি নাদিরার সমর্থক হওয়ার কারণেই তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরেছেন এমপি রিমন। এমপি নাদিরার বাড়িও পাথরঘাটায়।

হরিণঘাটা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী দুলাল হাওলাদার জানান, সম্প্রতি সোহেলের দোকানে গভীর রাতে বাকিতে সিগারেট নিতে আসেন ফোরকান। সোহেল না দেওয়ায় উভয়ের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।

পরদিন ফোরকান সহযোগীদের নিয়ে সোহেলের দোকান ভাঙচুর করেন। ওই সময় বিষয়টি নিয়ে এমপি রিমনের কাছে নালিশ জানালে তিনি নিজ হাতে বিচারের আশ্বাস দেন।

গত শনিবার (২১ মে) আসর নামাজের পর হরিণঘাটা বাজারসংলগ্ন স্লুইসঘাট এলাকায় সালিশ ডাকেন। সালিশে উভয় পক্ষের কথা শুনে ফোরকানকে মারধর করেন রিমন ও তার সহযোগীরা।

সোহেল বলেন, বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় ফোরকান আমাকে ও আমার মা-বাবাকে মারধর এবং দোকান ভাঙচুর করেছেন। বিষয়টি এমপির কাছে জানালে তিনি শনিবার বিকেলে বিচার করেন।

এমপি রিমন মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘একজন মসজিদের ইমামের শরীরে হাত দিয়ে ফোরকান গুরুতর অন্যায় করেছে। মুসল্লিদের চাপের মুখে এই সালিশ করতে বাধ্য হয়েছি।’

তিনি বলেন, সামাজিকভাবে যতটুকু পারি, ‘ততটুকু সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। তবে পাথরঘাটায় যা ঘটে, তার চেয়ে বেশি রটায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।’

পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাসার জানান, হরিণঘাটায় এমপি রিমনের চড়থাপ্পড় দেওয়ার কথা তিনি জেনেছেন।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে