কচুয়ায় ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা বাশেঁর সাকোঁ

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২২; সময়: ৬:৩০ অপরাহ্ণ |
কচুয়ায় ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা বাশেঁর সাকোঁ

মাসুদ রানা,কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়ায় ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাশেঁর সাকোঁ। উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের নাহারা গ্রামে সুন্দরী খালের উপর বাঁশের সাঁকোর স্থানে ব্রীজ নির্মানের জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ওই বাশেঁর সাকোঁ দিয়ে ১০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

এতে করে চরম দুভোর্গে পড়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। দীর্ঘ প্রায় ৫০বছর পূর্বে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন এলাকার জনগন যাতায়ত করে আসছে।

প্রায় দীর্ঘ ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই বাঁশের সাাঁকো দিয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে অনেকে। নাহারা উত্তর পাড়া মসজিদের পাশ দিয়ে প্রবাহমান সুন্দরী খালের উপর সড়কটি নাহারা আবুল মার্কেট হতে শুরু হয়ে মুন্সি বাড়ির পাশ দিয়ে উত্তর কড়ইয়া হয়ে কচুয়া ও পাশ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার গল্লাই কমপ্লেক্স ,নবাবপুর বাজারের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। সাধারণ জনগন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়তের সুবিধার জন্য ওই স্থানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মান করা আবশ্যক বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫০ বছর ধরে এভাবে রয়েছে বাঁশের সাকোঁটি। ফলে ওই ১০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক জনপ্রতিনিধি আসে যায় কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। বর্তমানে বাঁশের সাকোঁটি দিয়ে যাতায়াতের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। প্রতিনিয়ত কলেজ,মাদ্রাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। দ্রুত ব্রীজ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কচুয়া উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন বলেন, জনগনের চলাচলের জন্য এ ব্রীজটি অতীব গুরুত্বপূর্ন। অচিরেই ব্রীজ নির্মানের জন্য চেষ্টা করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলীম লিটন বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। স্থানীয়রা অচিরেই ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়ে কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে