গোমস্তাপুরের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বাঁচার আকুতি

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২; সময়: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ |
গোমস্তাপুরের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বাঁচার আকুতি

ডি এম কপোত নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা রাধানগর ইউনিয়নের কুজাইন ও চন্দের বিলাঞ্চলে উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর অতিবৃষ্টির কারনে বিলের পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৩ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এতে করে নতুন করে আরও ১’শ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। এদিকে কৃষকরা আতঙ্কে কাঁচা-পাকা ধান কেটে নৌকায় করে আনার চেষ্টা করছেন। এঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান পরিদর্শণে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বার বার এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় প্রানের আকুতি তুলে ধরেন।

শিবগঞ্জ উপজেলার অধিবাসী এবং ক্ষতিগ্রস্থ বিলে ৫০ বিঘা জমির মালিক বিয়েল আলী জানান, নতুন করে পানি বৃদ্ধির কারনে তার সহ প্রায় ১’শ বিঘা জমির ধান নতুন করে ডুবে গেছে। যেসব ধান কাটা হয়েছে, সেগুলো এখনও যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় আনতে না পেরে আতঙ্কে আছেন।

স্থানীয় অপর কৃষক শফিকুল জানান, তারা প্রতিবছরই এ ধরনের ক্ষতির শিকার হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ঘটনার সময় শুধু লোকদেখানো পরিদর্শণে আসেন, আশ্বাস দেন কর্তারা।

কিন্তু পরে আর কোন খবর বা স্থায়ীভাবে কৃষকদের রক্ষার কোন উদ্যাগ বা ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এ বিলে বছরে একবার মাত্র ফসল উৎপাদন হওয়ায় এবং প্রতিবছর এভাবে সে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তিনি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এদিকে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বিলকুজাইন ও চন্দের বিল এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেন। পরে তিনি নৌকাযোগে ক্ষতিগ্রস্থ বিল এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ন রেজা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ ও মাহফুজা খাতুন, রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, পার্বতীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

এ সময় স্থানীয় কৃষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে সাহায্য নয়, তাদের ধানগুলো ভবিষ্যতে যেন আর নষ্ট না হয়, তার প্রতিকার কামনা করেন।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আকশ্মিক পূর্ণভবা নদীতে উজানের ঢলের পানি উপচে বিলে প্রবেশ করলে বিলের হাজার হাজার বিঘা জমির ইরি-বোরো ধান পানিতে ঢুবে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে