বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২; সময়: ৪:২১ অপরাহ্ণ |
বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে। অভ্যন্তরীণে প্রতি লিটারে দাম ছিল ১০০ টাকা। এখন ৬ টাকা বাড়িয়ে ১০৬ টাকা করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি। প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে ফুয়েলের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা।

নতুন এ দাম রোববার (১৫ মে) কার্যকর হয়েছে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিষয়টি মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে জানিয়েছে পদ্মা অয়েল।

কোম্পানিটি জানায়, নতুন আদেশ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার তেল কিনতে হবে দশমিক ১ দশমিক ০৯ মার্কিন ডলারে।

এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারিত ছিল ৪৬ টাকা। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৫৩ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৫৫ টাকা, মার্চে ৬০ টাকা, এপ্রিলে ৬১ টাকা। তবে মে মাসে লিটারে ১ টাকা দাম কমানো হয়েছিল। জুনে প্রতি লিটারে ৩ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬৩, জুলাইয়ে ৬৬, আগস্টে ৬৭ টাকা, অক্টোবরে দাঁড়ায় ৭০ টাকা এবং নভেম্বরে ৭৭ টাকা করা হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দুই দফায় কমানো হয়েছিল ৪ টাকা। সর্বশেষ এপ্রিলে দাম ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

একইভাবে আন্তর্জাতিক রুটের জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার ৫০ সেন্ট (০.৫ ডলার)। প্রায় ১৫ মাসের মধ্যেই এ দাম দ্বিগুণ হয়ে ১.০৯ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।

বিষয়টি নিয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি এয়ারলাইন্সের ৪০ শতাংশ পরিচালন ব্যয় হয় জেট ফুয়েলে। জেট ফুয়েলের দাম যত বেশি, ব্যয় তত বাড়ে। যেসব দেশ কম দামে তেল কিনছে, তাদের পরিচালন ব্যয় কম হচ্ছে, যাত্রীদের জন্য তারা কম দামে টিকিট দিচ্ছে। আর বাংলাদেশে জেট ফুয়েলের অতিরিক্ত দামের প্রভাবে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব দিন দিন কমতে থাকে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন বাজারের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়বে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো। এমনকি রিজেন্ট, জিএমজি এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনেও নিজেদের অতিরিক্ত পরিচালন ব্যয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তারা।

এ ব্যাপারে বিশিষ্ট এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, এয়ারলাইন্সগুলো দীর্ঘদিন ধরেই জেট ফুয়েলের দাম কমানোর কথা বলে আসছে। তবে বিপিসি কখনোই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় না। করোনাকালে যখন বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো নানাভাবে বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছে, সেই সময়টাতেই এক বছরের মধ্যে কয়েকবার বাড়িয়েছে তেলের দাম। এতে করে আমাদের এয়ারলাইন্সগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো কম দামে নিজ দেশ থেকে কেনার ফলে তারা কম ভাড়ায় যাত্রী বহন করছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে