কমিটির সদস্যরাই প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত

প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২২; সময়: ২:৩৮ অপরাহ্ণ |
কমিটির সদস্যরাই প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের আরও সাত-আটজনের নাম বেরিয়ে এসেছে।

এর মধ্যে একজন বিসিএস কর্মকর্তার নামও রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁস চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিদের আইনের আওতায় আনতে ধীরগতিতে এগোচ্ছে পুলিশ।

এদিকে, মাউশির পরীক্ষা বাতিলের চিন্তাও আছে। দু-একদিনের মধ্যে এই ঘোষণা আসতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বণ্টনে কর্তৃপক্ষ পাঁচটি কমিটি গঠন করেছিল। তার মধ্যে দুটি কমিটির সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ছিল- এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এছাড়া মাউশির দু’জন উচ্চমান সহকারীকেও খোঁজা হচ্ছে। তাঁরা হলেন আহসান হাবিব ও নওশাদ। জালিয়াতির ঘটনায় তাঁদের বড় ধরনের ভূমিকা ছিল।

তদন্তে উঠে এসেছে, পরীক্ষার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁস হয়। অনেকের প্রবেশপত্রে ৭০ নম্বরের উত্তর লেখা ছিল। এরই মধ্যে সুমন জোয়াদ্দার নামে যাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিবি, তাঁর প্রবেশপত্রেও প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল।

মাউশি মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, পুলিশের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেব। আমরা পুলিশকে বলেছি, যেন এর শিকড় সন্ধান করা হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে- এর সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত আমরা পেয়েছি। যাঁরা প্রশ্নপত্র বিতরণ কমিটিতেও ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন এর সঙ্গে জড়িত। মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে বঞ্চিত না হন, এটা নিশ্চিত করতে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো জরুরি।

ডিবির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, এই চক্রের আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এটাও নিশ্চিত হওয়া গেছে, অন্তত দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁস হয়। কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অথবা কেন্দ্রে পৌঁছার পর প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে।

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। এজাহারে তিনি বলেন, বিকেল ৩টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয়।

তবে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জোয়াদ্দার স্বীকার করেন, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে তাঁর কাছে উত্তরপত্র আসে। এটি পাঠিয়েছেন পটুয়াখালীর সাইফুল ইসলাম ও টাঙ্গাইলের খোকন। অভিযুক্ত সাইফুল পটুয়াখালীর কলাপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক।

শুক্রবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ঢাকার ৬১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। ৫১৩টি পদের জন্য পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে