বেলকুচিতে মনোনয়ন ফরম না পেয়ে চেয়ারম্যানের সাংবাদিক সম্মেলন

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২; সময়: ৭:৪০ অপরাহ্ণ |
বেলকুচিতে মনোনয়ন ফরম না পেয়ে চেয়ারম্যানের সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চলছে ইউনিয়ন ও পৌরসভার নেতা নির্বাচন। আর তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতৃত্বে পছন্দের মানুষকে পদ পাইয়ে দিতে তিনটি গ্রুপের কর্ণধাররা চালাচ্ছেন নানা কুট কৌশল।

আর কুট কৌশলের জালে পড়ে নেতা নির্বাচনের দৌড়ে বাদ পড়ছেন অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। বেলকুচির সদর ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সম্মেলন থেকে বাদ পড়া নেতা-কর্মীরা দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।তবে উপজেলা আওয়ামীলীগ বলছে দলীয় সিদ্ধান্তেই তারা কাজ করছে। তবে জেলার নেতারা বলছেন অনিয়ম হলে খতিয়ে দেখা হবে।

বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হন মীর্জা সোলায়মান হোসেন। চলতি মাসে সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতার ফরম তুলতে গেলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তাকে ফিরিয়ে দেয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রাথীর পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। অথচ উপজেলা নির্বাচন হয়েছে তিন বছর আগে।

সোমবার দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে মীর্জা সোলায়মান এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য তার মনোনীত প্রার্থীরা ভোটে নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনে নানা কুট কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে এমপি সাহেবের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার, মন্ডল গ্রুপের কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলাম, শুধুমাত্র উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে একটি ছবি তোলার দায়ে তাকে সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে অংশগ্রহণকরতে দেয়া হয়নি।

মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ও মন্ডল গ্রুপের কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে।

দলের জন্য নিবেদিত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কৌশলে বাদ দিয়ে জামাত বি এন পির লোক দিয়ে তাদের মনগড়া কমিটি করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, এমত অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, আমি দুই দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তী কাউন্সিলেও আমি সাধারন সম্পাদক প্রার্থী আমি আমার প্রার্থিতা ফিরে পেতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

তবে এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক সরকার বলেন, আমি দলীয় সিদ্ধান্তেই সকল কাজ করে যাচ্ছি। এখানে এমপি সাহেব যে ভাবে বলবে আমরা সেই ভাবেই কাজ করবো।

আর জেলার আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার জানান, একই রকমের অভিযুক্তদের একই সমান বিচার বিবেচনা করতে হবে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

কেন বেলকুচিতে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে তা আমরা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখবো।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে