অল্প সময়ে বড় সফলতা পৌর মেয়রের

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২; সময়: ৬:০৭ অপরাহ্ণ |
অল্প সময়ে বড় সফলতা পৌর মেয়রের

আসাদুজ্জামান মিঠু : দায়িত্ব গ্রহনের মাত্র ১৪ মাস পেরিয়েছে। এর মধ্যে নাগরিক সেবার মান ও অবকাঠামো উন্নয়নের নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মুণ্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান। যার সুফল ইতোমধ্যেই পেতে শুরু করেছেন পৌররাসীরা। অল্প সময়ে ২য় শ্রেণির পৌরসভাটিকে প্রথম শ্রেণিতে নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি।

নির্বাচিত হয়ে মেয়র পদে বসার পর থেকেই পৌর পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ দক্ষতায় সহিত পরিচালনা করে আসছেন মেয়র সাইদুর রহমান। নিয়মিত অফিস করে শতভাগ নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করেছেন তিনি। পৌর পরিষদ নিয়ে নিয়মিত করেছে মাসিক সভা। নগর উন্নয়ন নিয়ে এলাকার সুধিজনের সাথে ত্রিমাসিক সভা করেছেন একাধিবার। মন দিয়ে শুনছেন সাধারণ নাগরিকের নানান অসুবিধার কথা। সে অনুযায়ী সাধ্যের মধ্যে থেকে কাজ করে যাওয়ার চেষ্টাও করছেন। এতে পৌর নাগরিকদের কাছে দিনে দিনে বেশ জনপ্রিয়তা হয়েও উঠছেন তিনি।

মেয়রের এমন সফলতা শুধু পৌর এলাকায় নয়, উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও জেলা প্রশাসনে আইন, শৃংখলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভাতেও দক্ষ মেয়র হিসাবে পরিচিতি ও প্রশংসিত হয়েছেন সাইদুর রহমান।

সাইদুর রহমান শুধু মেয়র নয়। পাশাপাশি পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘ ১০ বছর থেকে। এতে পৌর আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে বেশ ভূমিকা রয়েছে তার। নেতাকর্মীদের সুখে দুখে পাশে থেকেছেন। সকল জাতীয় দিবস উদযাপন করেছেন সবাইকে নিয়ে। উৎসবে নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজে উপহার দিয়েছেন তিনি। এতে গতি পেয়েছে দলের মধ্যে।

মুন্ডুমালা পৌর প্রকৌশলী ও প্রশাসন বিভাগ সুত্রে মতে, ২০২১ সালের তিন মার্চ মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন সাইদুর রহমান। এর পরে পৌর ভবনের সংস্কার করে করেছেন আধুনিকয়ন করণ। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প পর্যায়ে-২ পৌর এলাকার ৫ কিলোমিটারের বেশি রাস্তার প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং ও ঢালায়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন। এ উন্নয়নে পৌরসভার ১০টি গ্রাম এখন আধুনিক যোগাযোগের সুফল ভোগ করছে।

রাস্তা দুইটি হচ্ছে বাগমারা পাড়া থেকে পাঁচন্দর আওয়ালের মোড় এক কিলোমিটার। ঝলঝলিয়া থেকে গৌরাঙ্গপুরে দেড় কিলোমিটার। আইড়া মোড় থেকে করিমপুর ৭৫০ মিটার, তালুকপাড়া হতে যৌগদিশপুর ১ কিলোমিটার। মুণ্ডুমালা বাজার থেকে উত্তরপাড়া এক কিলোমিটার।

এছাড়াও একই প্রকল্পর আওতায় আরো পাঁচ কোটি টাকা কাজ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এলাকার মসজিদ, মন্দির গোরস্থানসহ অবকাঠামো উন্্নয়নে কাজ শেষ হয়েছে। এসব উন্নয়নে ব্যয় ৫০ লাখ টাকা। টেন্ডরের অপেক্ষায় আরো ৫০ লাখ টাকার কাজ। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে রাস্তা-ঘাট আলোকায়ন করা হয়েছে। নাগরিক সুবিধার জন্য প্রায় দুই হাজার রোড লাইট আছে।

এখানের শেষ নয়, নগর উন্নয়নের জন্য ইতি মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠানো রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে। এ প্রকল্প পাওয়া গেলে পাল্টে যাবে মুন্ডুমালা পৌরসভার চেহেরা। জেলার ১৪টি পৌরসভার মধ্যে মুন্ডুমালা পৌর সভা হবে জেলার আধুনিক ও শ্রেষ্ঠ পৌরসভা।

পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে দল করি আমি। মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রামকে শহর রূপান্তর করতে কাজ করছেন। আমিও তার একটি অংশিদার হিসাবে এখানে কাজ করছি। মাত্র ১৪ মাসেই কয়েক কোটি টাকার টেন্ডারের মাধ্যমে রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামোর উন্নয়নে কাজ শেষ হয়েছে।

ইতি মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠানো রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে। এ প্রকল্প পাওয়া গেলে জেলার ১৪টি পৌরসভার মধ্যে মুন্ডুমালা পৌর সভা হবে জেলার আধুনিক ও শ্রেষ্ঠ পৌরসভা হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

মেয়র আরো জানান, দীর্ঘদিন যাবত ২য় শ্রেণির পৌরসভা রয়ে গেছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কাজ ছিল নাগরীক সেবার মান বৃদ্ধিসহ প্রথম শ্রেণির পৌরসভার গড়ার। প্রথম শ্রেণি করতে অনেক শর্ত ছিল। সেগুলো মধ্যে পৌরকর বৃদ্ধি। আমি পৌর নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে তাদের মতামতের ভিত্তিতে পৌরসভার উন্নয়নের জন্য তা বৃদ্ধি করেছি।

এতে সফল হয়েছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়তো আমরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নতি করতে সক্ষম হব। আশা রাখছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে গ্রামকে শহর রূপান্তর করতে পারবো ইনশাল্লাহ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে