ছাত্রলীগ কমিটিতে ১৭ দাগি
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে ১৭ জনকে দাগি হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছেন ছাত্রলীগের শীর্ষনেতারা।
সম্মেলনের এক বছর বাদে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর গত দুদিন ধরে ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার মধ্যরাতে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন ছাত্রলীগের শীর্ষনেতারা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, বিবাহিত, অছাত্র এবং মামলার আসামিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত ১৭ জনের নাম আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বহিষ্কারের মাধ্যমে পদ শূন্য ঘোষণা বঞ্চিতদের স্থান করে দিব।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা প্রাথমিকভাবে কাজ করছি।’
এ সময় অভিযুক্ত ১৭ জনের নাম তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক। তারা হলেন- সহ-সভাপতি তানজিল ভুইয়া তানভীর, সুরঞ্জন ঘোষ, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হাওলাদার, শাহরিয়ার বিদ্যুৎ, মাহমুদুল হাসান তুষার, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, তৌফিকুল হাসান সাগর, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথি, মুনমুন নাহার বৈশাখী, দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব, উপ-সম্পাদক রুশি চৌধুরী ও আফরিন লাবনী।
এছাড়াও কমিটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, সারা দেশে সবার প্রত্যাশা পূরণ নাও হতে পারে, প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে গণতান্ত্রিক। যারা সংগঠনে বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, তাদেরও বহিষ্কার করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদেরকে যেমন বহিষ্কার করা হবে, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদেরকেও বহিষ্কার করা হবে।’
বিলম্বে কমিটি দেয়ার পরেও কেন এত অভিযোগ জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সদ্য সাবেকদের কাছ থেকে সহযোগীতা না পাওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।’
ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের সঙ্গে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বান্ধবী থাকতে পারবে না এমনটি ছাত্রলীগের কোথাও নেই। পদ চলে গেলে জানতে পারবেন সে কে!’
সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ২৪ বার রক্ত দিয়েছি। মাদকাসক্ত হলে রক্ত দিতে পারতাম না। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে।’