ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন নিজেই বিবাহিত!
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সদ্যঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র, হত্যা ও মাদক মামলার আসামিদের নতুন কমিটিতে জায়গা দেয়া হয়েছে, আর ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এরইমধ্যে ফেসবুকে সেসবের পরিচয়ও ফাঁস করছেন তারা।
বুধবার (১৬ মে) ছাত্রলীগের ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতা আব্দুর রহমান শ্রাবণ ফাঁস করেছেন শোভনের স্ত্রী সমেত ছবি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন,
‘শোভন’ কতটা ‘শোভনীয়’ এ ছাত্রলীগে?
পুরাতন গল্প দিয়ে শুরু করি…
ডাকসু নির্বাচনের কয়েকদিন আগে বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলের পরিচিতিসভা চলছে। হলভর্তি হাজারখানেক ছেলেপেলে। উপস্থাপনা করছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন চৌধুরী। একে একে সব প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। শেষে আসলেন এক নারী নেত্রী। সাবেক কমিটির উপসম্পাদক এবং সাবেক হল শাখার সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এতটুকু রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডই যথেষ্ট। কিন্তু সবাইকে অবাক করিয়ে দিয়ে শোভন ঘোষণা দিলেন, “এবার যাকে পরিচয় করিয়ে দিবো তিনি আর কেউ নন, যাকে ভেবে শত সহস্র ছেলের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। সেই কাঙ্খিত নারী….. (নামটা শ্রাদ্ধাা রেখেই বললাম না)! আমিসহ যারা একটু সিনিয়র ছিলেন তারা কেউ লজ্জায়, কেউ হাসি চেপে রেখে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। এই হলো সংগঠনের এক সাবেক নেত্রী/বোন সম্পর্কে একজন সভাপতির দৃষ্টিভঙ্গি। (এটা সত্যি কি মিথ্যে বলছি তা কারো রেকর্ড বা ভিডিও থাকলে পুনরায় দেখে নিবেন)। তো এমন একজন হ্যাবলা-ক্যাবলা সভাপতি ছাত্রলীগ নেত্রীকে সেজেগুজে মধুতে আসতে আসতে বলবেন এতে অবাক হওয়ার মত তো কিছু দেখি না! তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু ওনার ঘরে বউ আছে তাঁর জন্য হলেও ওনার নারীকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি এখন পরিবর্তন জরুরি ছিলো কি? উনি যেহেতু একটা বড় পদ অলঙ্কৃত করেছেন সে জন্য হলেও ওনার উচিৎ সংযত হওয়া। আর যারা বলেন ‘ডাকসুতে শোভনকে হারানো হয়েছে।’ আমি বলবো ডাকসুতে শোভন যোগ্যতায় হেরেছে। ডাকসুতে ছাত্রলীগের যতগুলো প্রার্থী ছিলো তারমধ্যে ওনার যোগ্যতা মিলালে এর উত্তর মিলবে। যতগুলো ভোট পেয়েছে তা তার যোগ্যতায় নয়, চেয়ারের কারণে। যারা পলিটিক্স করেন না কিংবা করেন -এমন অনেক পলিটিক্যাল, ননপলিটিক্যালদের সাথে কথা বলেছি। তাদের কারো লিস্টে শোভন ভাইকে পাইনি।
তবে তাঁর সাফল্য বলতে একমাত্র ডাকসু নির্বাচনের পর সহিংসতা থামানোকেই দেখি।
আসলে যার হওয়ার কথা ছিলো বড়জোর সংগঠনের উপ-সম্পাদক, সেই যদি হয় সভাপতি তাহলে এতবড় ভার কেমনে সামলাবে ভাই? এটাও আমাদের বুঝতে হবে।
বিবাহিত জীবনে ভাবীকে নিয়ে সুখী হন ভাই। শুভকামনা সবসময়!
এর আগে গত সোমবার (১৪ মে) ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা প্রকাশ করে সংগঠনটি। এর পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে পদবঞ্চিতরা। ঢাবি হাকিম চত্বর থেকে পদবঞ্চিতরা মিছিল নিয়ে এসে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাতে বাঁধা দেয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকপন্থীরা। এসময় পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়।