‘চারঘাটে স্কুল পর্যায়ে বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রবণতা বন্ধ করতে হবে’
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট : বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রত্যেক ইউনিয়নের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মেম্বার, চেয়ারম্যান এবং প্রত্যেক অভিভাবকদের সচেতনতা হতে হবে। এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এর আয়োজনে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবেলা প্রকল্পের যথাযথ দৃষ্ট্রান্তমূলক বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইউসুফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাথে ্ইন্টারফেস সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত দিনের তথ্য মতে দেশের বিভিন্ন মাধ্যদিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাল্য বিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সকলকে সচেতনতার সহিত কাজ করার আহবান জানান ইউএনও মুহাম্মদ নাজমুল হক।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকালে চারঘাট উপজেলার বেলঘরিয়া আব্দুস ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইন্টারফেস সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউসুফপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চারঘাট উপজেলা ইউএনও মুহাম্মদ নাজমুল হক। এসময় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাশিস সভাপতি ও ইউসুফপুর কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক, বেলঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, প্রকল্প সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল, প্রজেক্ট অফিসার রাশিদা পারভীন, প্রজেক্ট ফ্যাসিলেটর (পিএফ) শাহানা শারমিন, আব্দুল হান্নান, ইউনিয়ন সোশাল সাপোর্ট কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহীন হোসেন, কাজী সাদিকুর রহমান, ইমাম, স্কুলছাত্রী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ৭২ হাজার নিকাহ রেজিষ্টেশন অফিস রয়েছে। যেখানে কোন ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে এবং অপরাধিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থপনা নেয়ার আদেশ দিয়েছেন। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা না বুঝে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। তিনি চারঘাট উপজেলায় ২৮ অক্টোবর ২০১৮ সাল থেকে যোগদান করার পরে এ পর্যন্ত ৪৭টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।