তাড়াশ-রানীহাট আঞ্চলিক সড়কটি এখন মরণ ফাঁদ
নূর ইসলাম রোমান, তাড়াশ : দীর্ঘদিন মেরামত ও নজরদারির অভাবে তাড়াশ-রানীহাট আঞ্চলিক সড়কে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পিচ-পাথর উঠে বেহাল হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ-রানীহাট আঞ্চলিক সড়ক। সরেজমিনে তাড়াশ-রানিহাট পাকা সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বেশীর ভাগ অংশে পিচ, পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দক তৈরি হয়েছে। সড়কতো নয় এ যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসার সেই তাড়াশ-মান্নাননগর রাস্তাটি।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মটর সাইকেল, বাস, ট্রাক, ট্রলি, সিএনজি, অটোরিক্সা, ভ্যান, ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে থাকে। মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া সড়কগুলো দিয়ে এখন আর তেমন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এতে করে সড়কটির পার্শ্বে অবস্থিত উপজেলার সবচেয়ে বড় ধানের হাঁট বিনসাড়া এখন বলা যায় ক্রেতা-বিক্রেতা শুন্যপ্রায়। এছাড়াও গবাদী পশু ক্রয়-বিক্রয়ের বড় হাট গুল্টা সেখানেও আগের মতো সরগরম থাকেনা।
হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী মান্নাননগর থেকে তাড়াশ হয়ে রানিহাট পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার পাকা সড়ক দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত ও নজরদারীর অভাবে অধিকাংশ স্থানে বড় বড় খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় তাড়াশ ও বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের সাথে যোগাযোগে রানিহাট, গুল্টা, তালম, চৌড়া, গোন্তা, মানিকচাপর, বিনসাড়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ঘটছে প্রতিদিনই প্রায় ছোট-বড় দূর্ঘটনা।
তাড়াশ উপজেলার পাড়িল গ্রামে আব্দুল লতিফ সরকার জানান, বহুদিন হলো আমরা এলাকাবাসী এই (তাড়াশ-রানীহাট) সড়কটি সংস্কার করার দাবী জানালেও এখনো কোন প্রকার সংস্কার করা হয়নি। আদও কি এ সড়কটি সংস্কার করা হবে? এমন প্রশ্ন তুলে ধরেন অনেকেই এ প্রতিবেদকের কাছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদউল্লাহ জানান, মান্নাননগর থেকে তাড়াশ হয়ে রানীর-হাট পর্যন্ত রাস্তাটির আসলেই নাজুক অবস্থা। তিনি আরো জানান, তাড়াশ থেকে রানীর-হাট রাস্তাটি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
প