বাগমারায় গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও কর্মকর্তা

প্রকাশিত: মে ১২, ২০১৯; সময়: ৪:১৩ pm |
বাগমারায় গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও কর্মকর্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : শতাধিক গ্রাহকের ২০ লক্ষাধিক টাকা প্রতারনা করে নাপাত্তা হলেন “জন কল্যান সংস্থা” নামের ভুয়া এনজিও। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামে। ওই ঘটনার পর থেকে গ্রাহক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে।

এলাকার লোকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে মধ্যম বয়সী চার প্রতারক উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামে যায় এবং এনজিও স্থাপনের জন্য লোকজনের সহযোগীতা চায়। এলাকার লোকজন এনজিও স্থাপনের জন্য প্রতারকদের সহযোগীতা করলে তারা একই গ্রামের সাইদুর রহমান নামের এক কৃষকের বাড়ি ভাড়া নেয়। বাড়ি মৌখিক ভাড়া নিয়ে জন কল্যান সংস্থা নামের এনজিওটির সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। সাইন বোর্ড ঝুলানোর বিষয়টি এলাকার লোকজনকে বিশ্বাস ধরিয়ে দেয়। প্রতারকের দলটি বাড়িতে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই এনজিও’র ঋন প্রদানের জন্য সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। ১২ মে অর্থাৎ আজ রোববার সকাল থেকেই গ্রাহকদের মধ্যে ঋন বিতরনের কথা বলে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক সংগ্রহ ও সমিতি গঠন শুরু করেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে গতকাল শনিবার পর্যন্ত একই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রাহক সংগ্রহ ও ঋন প্রদানের জন্য শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। শনিবার প্রতারকের দলটি অফিসের আসবাবপত্র কিনার জন্য বাগমারা থেকে রাজশাহী শহরের যান। গ্রাহকদের টাকা ছাড়াও প্রতারকের দলটি বাড়ির মালিক সাইদুর রহমানের কাছ থেকেও প্রতারনার মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা নেয় বলে জানা যায়। আজ রোববার সকাল ১০ টার দিকে গ্রাহকেরা শীতলাই জন কল্যান অফিসের ঋন নিতে আসলে তারা অফিসে তালা মারা দেখতে পান এবং বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। গ্রাহকেরা বার বার সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের ফোন গুলো বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতারিত গ্রাহকেরা সংস্থার কার্যালয়ে ভিড় জমাই। গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা, মাড়িয়া ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ১৫/২০ লক্ষ টাকা প্রতারনা করে নাপাত্তা হয়েছে ভুয়া এনজিও জন কল্যান সংস্থা।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন বলেন, বাগমারা উপজেলায় জন কল্যান সংস্থা নামের কোন এনজিও বা সংস্থা নেই। সমবায় কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, উপজেলায় সমবায় অফিসের মাধ্যমে কোন ক্ষুদ্রঋনদান সমিতি থাকলেও আমাদের আওতায় ঋনদান কোন সংস্থা নেই। তিনি এই সংস্থাকে ভুয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। খোঁজ খবর নেয়া মুরু করেছেন। খোঁজ খবর নিয়ে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে