নুসরাত হত্যা: দুই এসআই বরখাস্ত, এসপির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

প্রকাশিত: মে ১১, ২০১৯; সময়: ১১:১১ pm |
নুসরাত হত্যা: দুই এসআই বরখাস্ত, এসপির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়িত্ব পালনে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ায় সোনাগাজী মডেল থানার দুই উপ-পরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার জন্য ফেনী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে শিগগিরই বরখাস্ত করা হবে। শাস্তির অংশ হিসেবে ২-১ দিনের মধ্যে তাকে পুলিশের একটি ইউনিটে সংযুক্ত করা হবে।

ওই ঘটনায় ইতোমধ্যে সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেন- এসআই মো. ইউসুফ ও এসআই মো. ইকবাল আহাম্মদ।

পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের দূরবর্তী বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্তি কোনো বদলি নয়, এটি শাস্তি প্রক্রিয়ার একটি অংশ। সংযুক্তিকালে তাদের কোনো দায়িত্ব প্রদান করা হয় না। পুলিশ সদর দপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে এসআই ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং এসআই ইকবালকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ফেনীর পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাকেও একটি ইউনিটে সংযুক্ত করা হবে। বিষয়টি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।

সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতের গায়ে। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয় সেখানে। কিন্তু অনেকেই এ ঘটনায় সোনাগাজীর পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতি এবং আসামি ধরতে গড়িমসির অভিযোগ করেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

এই প্রেক্ষাপটে অবহেলার পাশাপাশি সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে ১৩ এপ্রিল পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করে দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। ওই তদন্ত দলের সদস্যরা ১৭ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল এবং ২২ ও ২৩ এপ্রিল দুই দফা ফেনী গিয়ে তদন্ত করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে