রোযার নিয়ত করার সময়

প্রকাশিত: মে ১১, ২০১৯; সময়: ৯:৪৪ pm |

হোছাইন আহমাদ আযমী : নিয়ত কখন করব:
রোযার জন্য নিয়ত করা ফরয। নিয়ত ব্যতিত সারাদিন পানাহার ও যৌনতৃপ্তি থেকে বিরত থাকলেও রোযা হবে না। হযরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল (স.) বলেন অনেক রোযাদার এমন আছে রোযার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ছাড়া কিছুই লাভ হয়না। আবার অনেক (তাহাজ্জুদের জন্য) রাত্র জাগরণকারী এমন আছেন যারা রাত জাগার কষ্ট ছাড়া কিছুই পাবেনা। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, রমযানের রোযা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব।

হাদীসের পরিভাষায় বুঝা গেল ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সšতুষ্টির নিয়ত করা একাšত আবশ্যক বিষয়। মুখে নিয়ত করা জরূরি নয়, অন্তরে নিয়ত করলেই চলবে। আরবীতে নিয়ত করতে হবে এমন কোন শর্ত নেই। নিজ ভাষাতেই নিয়ত করলে হয়ে যাবে। মনে মনে সংকল্প করলেও হবে। বাংলায় নিয়ত হল আমি আল্লাহর নামে এই দিনে রোযা রাখার নিয়ত করলাম।

রমযানের রোযা, নফল রোযা ও মান্নতের ঐ রোযা যার জন্য তারিখ ও সময়কাল নির্ধারন করা হয়েছে, এ তিন ধরনের রোযার জন্য অর্ধ দিবস অর্থাৎ সূর্য ঢলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিয়ত করতে পারবে। তবে রাতে করা উত্তম। শুধুমাত্র রোযার নিয়ত করলেই হয়ে যাবে। নির্ধারণ না করলেও চলবে (জাওয়াহেরুল ফিকাহ)।

রমযানের কাযা রোযা, ঐ নফল রোযা যা রেখে ভেঙে ফেলেছে সেগুলির কাযা, সকল প্রকার কাফফারার রোযা এবং মান্নতের ঐ রোযা যার জন্য সময় নির্ধারণ হয়নি এ সকল রোযার নিয়ত রাতেই করতে হবে এবং রোযার প্রকারও নির্ধারণ করতে হবে। যথা সময়ে নিয়ত না করলে উপবাস থাকার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই অর্জন হবে না। কেননা আমলের ক্ষেত্রে নিয়তের বড় ভূমিকা রয়েছে।

মাহে রমযান অফুরন্ত রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও ফজিলতে পূর্ণ। নবী করীম স. বলেন, যে ব্যক্তি রমযান মাসের রোযা ঈমানের সাথে শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং আখেরাতে সওয়াবের আশায় রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তার পূর্ববর্তী সকল সগীরা গুনাহ মাফ করে দিবেন।

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযা-৬
[পোপ এলফ গাল এর গবেষণাঃ (P.E.G.S ANAIYSIS)] পোপ এলফ গাল ছিলেন হল্যান্ডের একজন নামকরা বড় পাদ্রী। রোযা সম্পর্কে তিনি তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ইম আমার অনুসারীদের প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছি। এ কর্ম পদ্ধতিতে দৈহিক ও পরিমাফিক সমন্বয়ে অনুভব করেছি। আমার রোগীরা বারংবার আমাকে জোর দিয়ে বলেছে, আমাকে আরও কিছু পদ্ধতি বলে দিন, কিন্তু আমি নীতি বানিয়ে দিয়েছি যে, দূরারোগ্য রোগীদের প্রতি মাসে তিনদিন নয় বরং পূর্ণ একমাস রোযা রাখার নির্দেশ দিব। আমি ডায়াবেটিস (Diabetes) হৃদরোগ (Heart Diseases) ও পাকস্থলী রোগে (Stomach Diseases) আক্রান্ত রোগীদেরকে পূর্ণ একমাস রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
topউপরে