বাঘায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ছাত্রের বাবাকে কুপিয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় নান্টু ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে তাজমুল হোসেন (৪৫) নামের একজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত তাজমুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা হাসপাতালে নেওয়ার পর আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাজমুল বাঘা উপজেলার কিশোরপুর গ্রামেরকালাম মন্ডলের ছেলে । শুক্রবার (১০-৫-১৯) রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার কিশোরপুর বিলপাপড়ার কাদের মোল্লার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের জের ধরে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে আহতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে ঘটনার সময় ছিলেন না বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী। ওই গ্রামের সুরুজের ছেলে নান্টু ও তার ভাই
জানা যায়, ঘটনার কয়েকদিন আগে আজমল হোসেনের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রকে গাঁজা সেবনের অভিযোগে ২৪ এপ্রিল ছাত্রলীগ নেতা সুজন ও তার একান্ত সহযোগি নান্টুর বিরুদ্ধে বাঘা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তাজমুল। অসঃ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তার ছেলেকে গাঁজা সেবন করানো হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন। ১৫ এপ্রিল থানায় লিখিত অভিযোগও করেন তিনি। এর আগে ১৭ এপ্রিল একই বিষয়ে কিশোরপুর বাজারে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। এর পর থেকে হামলা ও হুমকির মুখে পড়েন তিনি।
আহত তাজমুল হোসেনের চাচা আবদুর রশিদ জানান, জেলা ছাত্রলীগ নেতা সুজন আলী ও তার সহযোগী নান্টু হোসেন আমার নাতিকে (তাজমলের ছেলে) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মাসে দুই থেকে তিনবার গাঁজা সেবন করায়। নাতি আজমুল হোসেন মরকুটি কিশোরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি ছাত্র । বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে অবহিত করে মানববন্ধন,সংবাদ সম্মেলন ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগের পর তাদেরকেই শাসানো হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগ নেতা সুজন আলী বলেন, কুপিয়ে জখমের সময় তিনি ছিলেন না। এর আগে তাজমলই নান্নটুকে মারতে গিয়েছিলো। এর জের ধরে ঘটনা ঘটেছে। ছোট হলেও চুরির সাথে জড়িয়ে পড়েছিল তাজমলের ছেরে আজমল। তাকে ভালো করার জন্য মাঝে মধ্যে আমার মোটরসাইকেলে ঘুরিয়েছিলাম। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ থানায় মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী বলেন, সুজন আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাননি।