রোযাদারের জন্য পাঁচটি পুরস্কার
হোছাইন আহমাদ আযমী : সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে ইচ্ছাকৃত ভাবে পানাহার ও যৌনতৃপ্তি থেকে বিরত থাকাকে রোযা বলে। পাগল ও নাবালেগ (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) ব্যতীত রমযান শরীফের রোযা রাখা সকল মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ। শর্ত হলো মুকীম হতে হবে এবং মহিলাগণ হায়েয তথা ঋতুকালীন স্রাব ও নেফাস তথা বাচ্চা প্রসব পরবর্তী কালীন স্রাব হতে মুক্ত হতে হবে।
রোযাদারের জন্য পাঁচটি পুরস্কার :
১. রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তায়ালার কাছে মিশক আম্বরের চেয়ে বেশি সুঘ্রানযুক্ত।
২. রোযাদার বান্দার জন্য সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত দোয়া করে এবং ইফতারের সময় পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে।
৩. প্রতিদিন তাদের জন্য জান্নাতকে সুসজ্জিত করা হয়ে থাকে।
৪. দুর্বৃত্ত শয়তানকে শিকল দ্বারা বেধে রাখা হয়। যাতে করে সে কোন মুমিনকে ধোকা দিতে না পারে।
৫. রমযানের শেষ রাতে রোযাদারের মাগফিরাত ঘোষনা করা হয়।
রোযা শুদ্ধ হওয়ার ছয়টি আদব :
১. দৃষ্টির হেফাজত অর্থাৎ বেগানা নারী-পরুষের দিকে না তাকানো। ২. যবানের হেফাজত অর্থাৎ মিথ্যা, গিবত, পরনিন্দা ইত্যাদি থেকে নিজের যবানকে বাচানো। ৩. কানের হেফজত অর্থাৎ গান বাজনা শুনা, গিবত-শেকায়েত শুনা থেকে বিরত থাকা। ৪. আন্যান্য অংগ প্রত্যংগের হেফাজত। ৫. ইফতারের সময় হালাল মাল দ্বারা পেট পূর্ণ করে না খাওয়া বরং পেটকে অপূর্ণ রেখেই খানার সমাপ্ত করা। ৬. রোযা রাখার পরে সর্বদা ভয়ে থাকবে যে, না জানি আমার রোযা কবুল হয় কিনা।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযা-৫
[গান্ধিজীর বাসনা:] গান্ধিজীর ক্ষুধার্ত থাকার ব্যাপারটা খুব প্রসিদ্ধ। জনাব ফিরোজ রাজ গান্ধিজীর জীবনী গন্থে লিখেছেন, তিনি ছিলেন রোযা রাখার পক্ষপাতী। তিনি বলতেন, মানুষ খেয়ে খেয়ে নিজের শরীরকে অলস বানিয়ে ফেলে। এ অলস শরীর না জগৎবাসীর আর না মহারাজের। যদি তোমরা শরীরকে সতেজ ও সচল রাখতে চাও, তাহলে শরীরকে দাও তার নূন্যতম আহার আর পূর্ণ দিবস রোযা রাখ। সন্ধ্যাবেলা বকরির দুগ্ধ দ্বারা রোযা খোল। (দাস্তানে গান্ধী বিশেষ সংখ্যা)