রাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর উপর বহিরাগত হামলা, আহত ৭
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গাছ থেকে লিচু পেড়ে খেতে চাওয়ার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়রা হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের উত্তর দিকে অবস্থিত কর্মকর্তা কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন মাহমুদুর রহমান কানন। তিনি রাবি ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং আইন বিভাগের ছাত্র। আর মারধরের শিকার অন্যদের মধ্যে মেহেদী হাসান, ইমরান ও আকাশের নাম জানিয়েছে রাবি ছাত্রলীগের নেতারা। তারাও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তবে তাদের পুরো পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
অপরদিকে, মারধরকারীদের নাম-পরিচয় কেউ স্পষ্ট করে জানাতে পারেন নি। তবে হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে গাছগুলো লিজ নিয়ে পাহারা দিচ্ছিল বলে দাবি করেছেন বলে জানান ছাত্রলীগ নেতারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, এ বছর গাছ লিজ দেওয়া হয়েছে ঠিক। তবে যারা লিজ নিয়েছেন, তাদেরকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে- শিক্ষার্থীরা যদি কেউ খাওয়ার জন্য অল্প কিছু পাড়তে যায়, তবে যেন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করা হয়।
রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাব্বির হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পরে বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি- ছাত্রলীগ নেতা কানন, মেহেদী, ইমরানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭/৮ জন ছাত্র রোকেয়া হলের পাশে কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার এলাকায় লিচু খেতে যায়। তারা লিচু পাড়তে গেলে, সেখানে থাকা স্থানীয়রা তাদেরকে বাধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় ৮/১০ অপরিচিত ব্যক্তি লাঠিসোঠা ও রড নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।
এতে ছাত্রলীগ নেতা ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাননের কাঁধে গুরুতর জখম হয়। অন্য বেশ কয়েকজনও আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার বলেন, ‘সাবাইকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জেনে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।’