বাগমারায় লোকালয়ে মুরগীর খামার তৈরী করে পরিবেশ নষ্ঠের অভিযোগ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় পরিবেশ বিনষ্ঠকারী, বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রজাতীর মুরগীর খামার। মুরগী চাষের খামারের দুর্গন্ধের কারনে এলাকায় লোকজন বসবাস করতে পারছেনা বলে জানা গেছে। মুরগী চাষ খামারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের তক্তপাড়া গ্রামের শামীম উদ্দীন নামের এক যুবক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের তক্তপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হক নামের এক ভদ্রলোক বসতবাড়ীর সঙ্গে মুরগী চাষের জন্য খামার তৈরী করেছেন। মুরগীর খামারটি তৈরীর পর থেকেই এলাকার পরিবেশ ও বাতাস দুষিত হয়ে প্রচুর মানুষের অসুখ সৃষ্টি হয়েছে। লোকালয়ে মুরগীর খামারের কারনে এলাকায় কোন লোকজন বসবাস করতে পারছেনা। এছাড়াও এলাকার ছোট ছোট শিশুদের বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়েছে। ডাইরীয়া ছাড়াও হাপানী এবং স্বাশকষ্ঠের সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে তারা ঘনবসতিপূর্ণ লোকালয়ে মত স্থানে মুরগীর খামার তৈরী করেছেন। সরকার বেকার যুবকদের বেকারত্ব দুর করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। সরকার যে ভাবে দেশের বেকারত্ব দুর করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলোকে কাজে না লাগিয়ে সমাজে বসবাসকারী মানুষের ক্ষতির কাজটি বেশী করছেন। পরিত্যক্ত, লোকালয় থেকে দূরে ফাঁকা জায়গা হাসমুরগীর খামার গড়ে তোলার কথা থাকলেও সেখানে তারা না করে লোকালয়ে খামার গুলো গড়ে তোলে পরিবেশ নষ্ট করছেন। এলাকার লোকজনের অভিযোগ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের গাফলতির কারনেই লোকালয়ে মুরগীর খামার গুলো গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ মুরগীর খামার গুলো গড়ে উটার জন্য উপজেলা প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করেছেন তারা । তারা অবিলম্বে মুরগীর খামার স্থাপনকারী এলাকা পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে খামার গুলো সরানোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তক্তপাড়া গ্রামের লোকজন জানান, মোজাম্মেল হক শত্রুতামূলক শামীম উদ্দীনের ঘরের সঙ্গে মুরগীর খামার তৈরী করেছেন। মুরগীর খামরের কারনে শামীম উদ্দীনের বাড়ির লোকজন বাড়িতে থাকতে পারছেনা বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও মুরগীর খামারের কারনে তার বাড়ীতে বোনের বাচ্চার ব্যাপক অসুখ হয়েছিল। মোজাম্মেল হক প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি তার ইচ্ছামত ন্যায় অন্যায় কাজ গুলো সব সময়ই করে রাখেন। কেউ তিবাদ করলে তাকে নানা ভাবে হেনেস্তা করা হয় বলে এলাকার লোকজন জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে লোকালয়ে বসবাসকারীদের আশপাশের সমস্ত মুরগীর খামার গুলো সরিয়ে ফেলা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।