পুঠিয়ায় মাহসড়কে সংস্কার কাজ শেষ না হতেই কনকৃট ঢালায়ের স্লাবে ফাঁটল
নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলা সদরে রাস্তায় সংস্কার কাজ শেষ না হতেই কনকৃট ঢালায়ের বিভিন্ন স্লাবে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক ভবনের প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের উদাশিনতাকে দায়ী করেন এলকাবাসী।
রাজশাহী সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা সদরে ৭ শত মিটার ও ঝলমলিয়া বাজারে ২ শত ২০ মিটার সড়কে কনকৃট ঢালায়ের এবং একই সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাথে একই প্যাকেজে ১১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকায় কাজটি পেয়েছে যশোরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোঃ মইন উদ্দিন বাঁশি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে কাজ শেষ করেছে। প্রথমে ঝলমলিয়া এবং পরে পুঠিয়া উপজেলা সদরে রাস্তা ভেঙ্গে ১ম ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে।
পুঠিয়া উপজেলা সদরের ওসমান আলী, মোহাম্মদ আলী ও মফিজ উদ্দিন জানায়, কয়েক দিন আগে রাস্তার কাজ শেষ করেছে। এই কাজের সময় সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীর উপস্থিতি কম থাকায় ঠিকাদারের লোকজন ইচ্ছেমত কাজ করে। বৃষ্টির পানির মধ্যেও ঢালায়ের কাজ করতে দেখা গেছে। এছাড়া ঢালায়ের পরপর পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও নাম মাত্র ঢালায়ের উপরে তুলার বস্তা দিয়ে পানি ছিটাতে দেখা গেছে। এ সব অবহেলার কারণে ঢালায়ের কয়েকদিন না যেতেই বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ঢালায়ের পর কাজ শেষ না হতেই যদি রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে, সেই রাস্তা কয়দিন টিকবে, এটাই চিন্তার বিষয়। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শামসুজোহা জানান, যে ফাঁটল দেখা দিয়েছে সেটা বড় ধরনের ক্ষতিকর ফাঁটল না। সিমেন্টে রেশিও বেশি রয়েছে তাই ফাটল দেখা দিতে পারে।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) এর সংসদ সদস্য ডাঃ মনছুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে এমন হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হবে।