জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে হচ্ছে আরএমপির সদর দপ্তর!

প্রকাশিত: মে ৬, ২০১৯; সময়: ৫:২৬ pm |

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

সোমবার সকালে আরএমপি কমিশনারের সভা করে এই প্রতিবাদ জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্যরা। একইসঙ্গে তারা বিষয়টির সমাধান চান।

নগরীর শাহমখদুম থানায় আরএমপির অস্থায়ী সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবীরকে জমি নিয়ে জটিলতার বিষয়টি অবহিত করেন। তখন আরএমপি কমিশনার বলেন, তিনি নতুন যোগ দিয়েছেন। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে তিনি খোঁজখবর নেবেন।
সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব বলেন, নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের সদর ডাকবাংলোটি আগে ৫ দশমিক ৯৪ একর জমি নিয়ে ছিল। এর মধ্যে দীর্ঘ দিন আগে জমির পশ্চিম দিক থেকে ১ দশমিক ৩৯ একর জমি আরএমপির কাছে বিক্রি করা হয়। সেখানে আরএমপির সদর দপ্তর করা হয়। এরপর বাকি ৪ দশমিক ৫৫ একর জমিও বিক্রি করার জন্য আরএমপির পক্ষ থেকে জেলা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু তখন জেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান না থাকার কারণে জমি বিক্রি করা যায়নি। ওই সময় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসার পর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।

পরবর্তীতে নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান এলেও পুলিশের কাছে জমি বিক্রি করা হয়নি। কিন্তু তারপরেও জেলা পরিষদের জমি দখল করে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আরএমপির স্থায়ী সদর দপ্তর নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এ জন্য সদরে জেলা পরিষদের একমাত্র ডাকবাংলোটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেন।

এ সময় আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, আরএমপিতে তিনি নতুন যোগ দিয়েছেন। জমি নিয়ে এমন জটিলতার কথা কেউ তাকে জানায়নি। তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ যেমন একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে তেমনি আরএমপিও একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জমি নিয়ে এমন জটিলতা থাকলে সেটি সরকারিভাবেই সমাধান হবে। কারণ, বিরোধপূর্ণ জায়গায় এতো টাকা খরচ করে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান হতে পারে না।

সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আরএমপির উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নার্গিস আক্তার, সদস্য আবুল ফজল প্রামানিক, আসাদুজ্জামান মাসুদ, এমদাদুল হক, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য জয়জয়ন্তী সরকার মালতি প্রমুখ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে