চরভদ্রাসনে মন্দিরের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১১

প্রকাশিত: মে ৪, ২০১৯; সময়: ১০:২৭ pm |
চরভদ্রাসনে মন্দিরের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১১

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মন্দিরের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ দুই পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আহতদের মধ্যে সুশীল কর্মকার (৪২), আলোমতি মণ্ডল (২৯), সাবিত্রী মণ্ডল (৩৪), পারুবালা মণ্ডল (৫৮) ও সরকারি রোকনউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী জয়ন্তীকা মণ্ডল (১৪) রয়েছেন। অপর পক্ষে আহত হয়েছেন, কোষাধ্যক্ষ হরিপদ মণ্ডল (৬৪), তার স্ত্রী সাধনা রাণী মণ্ডল (৫৪), আশুতোষ মণ্ডল (২২), অভিমন্ন মণ্ডল (৫১), মুক্তি মণ্ডল (৪৯) ও নিরাঞ্জন মণ্ডল (৫৭)।

আহতদের মধ্যে স্কুলছাত্রী জয়ন্তীকা মণ্ডল ও মুক্তি মণ্ডল ছাড়া বাকি সকলকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সুশীল মণ্ডল, আশুতোষ মণ্ডল ও অভিমন্ন মণ্ডলের মাথা ফেটে গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামে মাথাভাঙ্গা সার্বজনীন দুর্গা মন্দির রয়েছে। তিন শতাংশ জমির উপর এ মন্দিরটি ২০০৫ সালে স্থাপন করা হয়। এ মন্দিরের জায়গার মালিকানা মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সুরেশ মণ্ডলের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা এবং মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ হরিপদ মণ্ডলের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

এদিকে, গত বছর সুরেশ মণ্ডল ওই মন্দিরের জায়গাসহ পৌনে আট বিঘা জায়গা একই ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গি গ্রামের কবির মোল্লার কাছে বিক্রি করে দেন। সম্প্রতি কবির মোল্লা ওই জায়গায় দখলে নেওয়া উদ্যোগ নেন। এজন্য কবির মোল্লা সুশীল মণ্ডলকে ওই মন্দিরটি সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান।

সুশীল মণ্ডল ও তার অনুসারীরা শনিবার দুপুরে মন্দিরটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য মন্দিরের বেড়া খোলার কাজ শুরু করেন। এ খবর পাওয়ার পর হরিপদ মণ্ডল তার লোকজন নিয়ে মন্দির সরানোর কাজে বাধা দেন। মন্দির অপসারণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে ওই মন্দির কমিটির সভাপতির ছেলে সুশীল ও কোষাধ্যক্ষসহ ১১জন আহত হন।

এ বিষয়ে হরিপদ মণ্ডল বলেন, ওই মন্দিরটি যে জায়গায় স্থাপিত সেটি তার মালিকানাধীন জায়গা। গত বছর তিনি মন্দিরের নামে তিন শতাংশ জায়গা লিখে দেন।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যে জায়গায় বর্তমানে মন্দির অবস্থিত ওই জায়গায় মন্দিরের কার্যক্রম চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। এজন্য মন্দির কমিটির সভাপতিসহ অন্যরা মন্দিরটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু একটি পক্ষ এ সিদ্ধান্ত না মানায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে