সৌদিতে দুর্ঘটনায় নিহত মান্দার দুইজনের পরিবারে শোকের মাতম
নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা : সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দুরে সাগরা শহরের প্রবেশদ্বারে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ বাংলাদেশির মধ্যে দুইজনের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নে। এরা হলেন, ওই ইউনিয়নের তেগাড়া গ্রামের তফিজ উদ্দিনের মৃধার ছেলে গিয়াস উদ্দিন মৃধা ওরফে তোতা (৩৫) ও তুড়ুকবাড়িয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মানিক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জ্বীন। দুর্ঘনটার খবর পাওয়ার পর পরই তাদের শোকের মাতম শুরু হয়।
নিহত গিয়াস উদ্দিন তোতার পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ মাস আগে ভাগ্যের চাকা বদলের আশা নিয়ে সৌদী আরব পাড়ি জমান নিহত গিয়াস উদ্দিন মৃধা তোতা। সংসারে স্ত্রী শামীমা আক্তার একছেলে সোয়াইদ মৃধা সাফি (১১) ও একমেয়ে তানিশা আক্তার (৩) রেখে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। মাথার ওপরে ছিল সাড়ে তিন লাখ টাকার ঋণের বোঝা। মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় পুরো পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার।
অন্যদিকে মানিক হোসেন সংসারে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, ছেলে শাহিন (০৫) ও মেয়ে শাহিনারা (৩) বাবা রজমান আলী ও মা মানিকজান বিবিকে রেখে তোতার সঙ্গে সৌদী আরব যান। তারা দুজনেই সৌদী আল হারিফ ক্যোটারিং কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার একটি গাড়ীতে ১৭ বাংলাদেশি সাগরা শহরে প্রবেশের পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন ও মানিক নিহত হন।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, সৌদী আরবের একই কোম্পানিতে কর্মরত টাঙ্গাইলের এক শ্রমিক মোবাইলফোনের মাধ্যমে গিয়াস ও মানিকের মৃত্যুর সংবাদ তাদের বাড়িতে পৌছে দেন। এরপর থেকেনিহতদের বাড়িতে শুরু হয়েছে শোকের মাতম। বাড়ি দুটিতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের শতশত নারী-পুরুষ। আগতরা পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
মান্দা থানার তদন্ত পরির্দশক তারেকুর রহমান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি ম্যাসেজ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।