আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা আর কতকাল : সামসুল হুদা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০; সময়: ৮:১৬ অপরাহ্ণ |
খবর > খেলা
আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা আর কতকাল : সামসুল হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভাগ ও জেলা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনে ক্রিকেট বোর্ডের দির্ঘদিনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নেই কোন উদ্দোগ। জেলা বিভাগ ক্রিকেট উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, আঞ্চলিক লিগ আয়োজনে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার মাধ্যমে সঠিক ভাবে পরিচালনা দায়ীত্ব অবশ্যই ক্রিকেট বোর্ডের উপর বর্তায়। জেলা দল গুলোকে নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তবিভাগীয় এবং জেলা গুলোর লিগ যেমন স্কুল ক্রিকেট তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার বিভাগ ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবছর অনুষ্ঠানের জন্য অতি অবশ্যই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়াও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সার্ভিসের ক্রিকেট লিগ, টুনামেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলো ক্রিকেট বোর্ডের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি অন্যান্য পৃষ্টপোষক সংগ্রহের মাধ্যমে এ সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা গুলোর আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারনে প্রায়সয়ই প্রতি বছর এ সকল প্রতিযোগিতায় আয়োজন করতে ব্যর্থ হয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক এ পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ সামসুল হুদা।

তিনি বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ও ব্যক্তিগত উদ্দ্যেগে অসংখ্য ক্রিকেট একাডেমি, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে আসছে, যার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটার প্রশিক্ষিতি হছে কিন্তুু জেলা পর্যায়ে প্রতিবৎসর উল্লেখিত প্রতিযোগিতা সমূহ না হওয়ার কারণে সুপ্ত প্রতিভাসমূহ বিকশিত হতে পারছে না। ফলে বয়স ভিত্তিক ও জেলা দল গুলো গঠনে উপযুক্ত প্রতিভাধরদের অংশ গ্রহণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সমূহ ফুটবল হকি, ক্রিকেট, কাবাডি, হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, সাতার, বক্সিং, জুডো, কারাতে, উশু, দাবা, শরীর চর্ছা, এথলেটিক সহ অনেক ক্রীড়ার প্রতিযোগিতা, প্রশিক্ষণ, অনুষ্ঠান ও জাতীয় প্রতিযোগিতায় তাদের সাদ্ধের বাইরে অংশগ্রহণ করে থাকে।

এ ক্ষেত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অতি সামান্যই অনুদান প্রদান করে থাকে। সিংহভাগই স্থানীয় ভাবে সংগঠকরা পৃষ্ঠপোষক সংগ্রহের মাধ্যমে খেলাধুলা ও অন্যান্য খরচাদি নির্বাহ করে থাকে। ফুটবল ফেডারেশন কয়েক বৎসর পূর্বে ফিফার নির্দ্দেশে বিভাগীয় ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশণ গঠনের মাধ্যমে ফুটবলের যাবতীয় কার্যক্রম পৃথক করেছেন কিন্তুু আর্থিক সংকটের কারণে সংস্থাগুলো যথাযথভাবে ফুটবল লিগ সমূহ, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্য্যক্রম করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক এ পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ সামসুল হুদা।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্রমউন্নিতর এই সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের যথাযথ পদক্ষেপ ক্রিকেটের দ্রুত উন্নতিতে অপরিসীম ভূমিকা রাখতে পারবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে তিন শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব আছে প্রথমটির জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি দ্বিতীয়টি ঢাকার বিভিন্ন বিভাগের ক্লাব প্রতিনিধি এবং তৃতীয়টি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সংস্থার প্রতিনিধিত্ব। বোর্ড শুধুমাত্র ঢাকার ক্লাব গুলোকে ও তাদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাধায়ন ও পৃষ্টপোষকতা প্রদান করে থাকে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় তৃনমুল পর্যায়ের জেলা, বিভাগ ও সংস্থা ভিক্তিক ক্রিক্রেটার সরবরাহ কারি মূল আয়োজনে ক্রিকেট বোর্ডের তেমন কোন তত্ত্বাবধান ও পৃষ্ঠপোষকতা নেই বললেই চলে।

আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের সূচিন্তিত সিদ্ধান্ত ক্রিকেট বোর্ডই গ্রহন করেছে যা অব্যাহত ভাবে বর্তমান বোর্ডও ধারণ করে আসছে কিন্তুু বাস্তবায়নের কোন উদ্দ্যেগ পরিলিখিত হচ্ছে না। ক্রিকেট বোর্ডের সার্মথ্য অনুযায়ী তৃনমূল পর্যায়ে সারা দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রিকেটের সুতিকাগার উন্নয়নের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের মাধ্যমে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক এ পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ সামসুল হুদা বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্যগুলি তুলে ধরেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে