রাজশাহীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যু, ভর্তি ৩

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২০; সময়: ১:৩১ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যু, ভর্তি ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন করোনা চিকিৎসক টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আজাদ।

মৃত যুবকের নাম শ্রী কৃষ্ণ (৩৫)। তার বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার পলাশ বাড়ি গ্রামে। শনিবার দুপুরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগিতের জন্য স্থাপন করা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আইসোলেশনে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কৃষ্ণকে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়অ হয়। সেখান থেকে তাকে সরাসরি রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেয় চিকিৎসকরা। তিনি ঢাকায় কাজ করতেন। সম্পতি তিনি বাড়িতে এসেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

রোববার হাসপাতালের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ডা. আজাদ জানান, নওগাঁর মান্দা থেকে আসা ওই রোগির জ্বর ও প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। তিনি অজ্ঞান অবস্থায় থাকার কারণে তার কাছ থেকে কিছু জানা সম্ভাব হয়নি। তবে তিনি নিয়মিত মদ পান করতেন বলে জানা গেছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু করোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ তার মধ্যে ছিল এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার সৎকার করতে বলা হয়েছে বলে জানান ডা. আজাদ।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজন ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হওয়া এই তিন রোগিকে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদের মধ্যে একজনের বাড়ি নগরের দরগাপাড়ায়। যার বয়স প্রায় ৬০ বছর। অপরজনের বাড়ি নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায়। তিনি মহিলা তার বয়স ২৬ বছর। এছাড়াও আরেকজনের বাড়ি নওগাঁয়। তার বয়স ৫০ বছরেরমত।

এর আগে শুক্রবার জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে যে দুইজন ভর্তি ছিলেন তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের শরীরিরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। তারা এখন সুস্থ্য আছেন। তাদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানান ডা. আজাদ।

ডা. আজিজুল হক আজাদ আরও বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে রামেক হাসপাতালে আরও তিনজনকে ভর্তি করা হয়। তাদের হাসপাতালের করোনা পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে শনিবার গভীর রাতে একজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি একজন মহিলা। করোনা আতঙ্কে তিনি পালিয়ে গেছে বলে এই চিকিৎসকের ধারণা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে