খাবার সংকটে আমান জুট মিল লিমিটেডের আকটে পড়া শ্রমিকরা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২০; সময়: ৫:৫০ অপরাহ্ণ |
খাবার সংকটে আমান জুট মিল লিমিটেডের আকটে পড়া শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে জুট মিল কারখানাগুলো। এতে বিপাকে পড়েছেন এই শিল্পের ওপর নির্ভর করা কয়েকশো’ শ্রমিক। কাজ না থাকায় টানাপোড়েনের সংসারে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের।

এমন বিপাকে পড়েছেন রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার পারিলার খড়খড়ি নারিকেলবাড়ীয়াই আমান জুটমিল লিমিটেডের অর্ধ শতাধিক শ্রমিক। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সাহায্যের আশা দিলেও এগিয়ে আসেননি। এছাড়াও সাহায্য বিষয়ে মিলের এজিএমকে জানালে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সাথে তিনি অসৈজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩০ মার্চ পর্যন্ত আমান জুট মিল লিমিটেড চালু ছিল। এরআগে ২৬ মার্চ থেকে রাজশাহী থেকে সব ধরনের যানবাহন লকডাউন করা হয়। ৩১ মার্চ শ্রমিকদের বেতন না দিয়েই মিল বন্ধ হলে স্থানীয় শ্রমিকরা বাড়ি বাড়ি চলে যায়। তবে দেশের বিভিন্নপ্রাপ্ত রংপুর, নিলফামারী, চট্টোগ্রাম ও ভৈরবসহ দুর জেলার অর্ধ শতাধিক নিয়মিত শ্রমিক আটকে পড়ে। কিন্তু এদের খাবারের কোন ধরণের ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ।

গত ৫ এপ্রিল সকালে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আমান জুট মিল লিমিটেডের অর্ধশতাধিক শ্রমিক কয়েকদিন থেকে না খেয়ে আছেন বলে আবেদন করেন। বিষয়টি তারা জেলা প্রশাসককেও জানান। প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মোবাইল ফোনে মিলের এজিএম আব্দুল বারীর সাথে যোগাযোগ করেন। এতে তিনি রাগান্বিত হন এবং শ্রমিকদের ত্রাণ দিতে পারবেন না বলে জানান। পাশাপাশি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে অসৈজন্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি তার বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে তিনি তার বাড়ি জাহান্নামে বলে ইউএনওকে জানান। তারপরেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুঝানোর ফলে তিনি ত্রাণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মিলের এজিএমের সাথে সকালে যোগাযোগ করা হলেও এদিন রাত ১০ পর্যন্ত খাবার না পেলে শ্রমিকরা আবারো জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। এরপর রাতেই স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলুর সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন ৫০ কেজি চাল, ৫০ কেজি আলু ও ৫ কেজি ডাল শ্রমিকদের সরবরাহ করেন। তাদের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে আরো ত্রাণ মজুত আছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। পাশাপাশি আমান জুট মিল লিমিটেডের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষে নিবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে আমান জুট মিল লিমিটেডের এজিএম আব্দুল বারীর মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে