তাহেরপুরে হাট বন্ধ করে দিল পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা তাহেরপুর : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় করোনা ভাইরাস সংক্রামক রোধে সরকারী নিষেধাক্কা অমান্য করে হাট বসার পর অবশেষে বন্ধ করে দিলো পুলিশ।
সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন হাটে লোকজনেরা জমাট হতে শুরু করেন।এসময় এলাকার লোকজন উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ গিয়ে হাট বন্ধ করে দেন। এলাকাবাসি ও হাটের মানুষ জানান, তাহেরপুর পৌরসভার ইজারাদারেরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন হাট বসিয়ে ব্যাপক হারে খাজনা আদায় শুরু করেন।
এই খবর এলাকাবাসি বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহমেদের কাছে দিলে তিনি তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই রাসেল আহমেদকে নিত্য পর্ণ্যরে হাট ছাড়া সকল ধরনে হাট বন্ধের নির্দেশ দেন। এর পর বেলা ১১টার সময় এস আই রাসেল আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্স সাথে নিয়ে তাহেরপুর পৌরসভা হাটে নামেন। তিনি হরিতলা বাজার, পুরাতন গরুহাটা, চৈতালীপট্রি, নলডাঙ্গা মোড়, মধ্য বাজারের মোদিপট্রি এবং মাছ বাজারের বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই রাসেল আহমেদ জানান, বাগমারা উপজেলার বৃহতম বাণিকজ্যিক কেন্দ্র তাহেরপুর পৌরসভা হাটে সকাল থেকে ধান ,আলু,পান, মরিজ, পিয়াজ, রসুন, আদা, পান বরজ তৈরীর লগর,ওয়াশি সহ বিভিন্ন হাট বসে। হাটের বিভিন্ন যায়গায় মার্কেট খুলে বসে দোকানীরা। এরপর নির্বাহী অফিসার শরিফ আহমেদের নির্দেশে দোকানপাট ও বেশকেছু হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে হাট ইজারাদার মালিক ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা মুনছুর রহমান বলেন, আমার ইজারাদারের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে হাট বন্ধেন জন্য ঘোষনা দেওয়া হয়। আর যদিও ঘোষনা দেওয়ার পরেও হাট বসে তাহলে পৌরসভাকে বলেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহমেদ বলেন, আমি সরকারী প্রটোকল বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি, তাহেরপুর হাট বসার ব্যাপারে আমি কোন অনুমতি দেয়নি। তিনি সাংবাদিক দের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান। অযথায় গুজবে কানদিয়ে আমাকে বিব্রত করা থেকে বিরত থাকুন।