দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ফি পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০; সময়: ৭:০২ অপরাহ্ণ |
দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ফি পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুর্গাপুর : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চলমান এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাবদ প্রায় ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অর্থ আত্মসাতের এমন অভিযোগ এনে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তশান প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বেশ কয়েক বছর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি পুণরায় আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুণর্বহাল হই। প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিলেও সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ের কাগজপত্র আংশিক বুঝে দিলেও আর্থিক সংক্রান্ত বিষয়ে কোন কাগজপত্র কিংবা চলমান এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাবদ ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫২২ টাকা তার কাছে জমা থাকলেও সে হিসেব তিনি দেননি। বারবার এ বিষয়ে তাগাদা দেয়া হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। এমনকি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। লিখিত চিঠি দেয়া সত্বেও তিনি বিদ্যালয়ে আসেননি।

ফলে বিদ্যালয় পরিচালনা, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় কর্মরত ইনভিজিলটর, পরীক্ষা পরিচালনায় অফিসিয়াল দায়িত্বে কর্তব্যরত শিক্ষক কর্মচারি, কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আইন শৃংখলার বাহিনীর সদস্য ও উত্তরপত্র বোর্ডে প্রেরণ সহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমতবস্থায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিদ্যালয়ের আনুসাঙ্গিক বিষয়াদি ভেবে প্রাথমিক ভাবে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নম্বর- ৭১১।

এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলতে একাধিকবার তার ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে কল হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কণা জানান, এ সংক্রান্ত একটি জিডি থানায় দায়ের হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে