রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরেক শিক্ষকের হত্যাচেষ্টা মামলা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০; সময়: ৮:৫৩ অপরাহ্ণ |

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্বব্যিালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের অন্য এক শিক্ষক হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মু. আলী আসগর একই বিভাগের খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বলে জানান নগরের মতিহার ওসি এস এম মাসুদ পারভেজ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক আসগর আলী বুধবার ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের এক কর্মচারীর মাধ্যমে ফটোকপি করাচ্ছিলেন। এসময় বিভাগের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম এসে তাকে হত্যার উদ্দেশে সজোরে মাথায় ঘুষি মারেন। এতে তিনি মাটিতে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেন। সম্প্রতি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তিনি রিট করেছেন। সেটি এখন বিচারাধীন রয়েছে।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, খাইরুল ইসলাম গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেন। পরে ওই ঘটনায় মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়।

অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, “শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট মামলা করার জন্যই আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। এর আগেও আমাকে হুমকি দিয়েছিলো, যাতে আমি মামলা প্রত্যাহার করে নিই। মামলা তুলে না নেওয়ায় আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলো ওই শিক্ষক।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিভাগের অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের তিনজন নতুন শিক্ষক সম্প্রতি বিভাগে যোগদান করেছেন। তাদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ফাইল প্রোসেস করা হচ্ছিল। ফাইল প্রোসেস শেষে হিসাবরক্ষক বাইরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন ফাইলটি যথাস্থানে নেই। উপস্থিত পিয়নকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আসগর স্যার ফাইলটি নিয়ে গেছেন। তিনি সে ফাইলগুলো ফটোকপি করছিলেন। পরে তার কাছ থেকে ফাইলটি চাইলে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান।”

মতিহার থানার ওসি এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, “বুধবার রাতে ওই শিক্ষক নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ক্রপ সায়েন্স বিভাগে নতুন নীতিমালা ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছর ২১ অগাস্ট হাইকোর্টে রিট করেন মু. আলী আসগর। রিটের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করে গত ২৮ জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই আপিলের রায়ে আগের আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে