রাজশাহীতে বিধি ভেঙে বালু উত্তোলনে ২ ইজারাদারের দন্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২০; সময়: ১০:০৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে বিধি ভেঙে বালু উত্তোলনে ২ ইজারাদারের দন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে নিয়ম অমান্য করে পদ্মা নদীর তীরের কাছাকাছি এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে দুই ইজারাদারের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

রাজশাহীর পবা উপজেলার মদনপুর, কসবা ও চারহরিপুর মৌজার বালুমহাল ইজারা নিয়ে সোনাইকান্দি এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন এবং হাড়ুপুর ও নবগঙ্গা মোজার বালুমহাল ইজারা নিয়ে রজব আলী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন। বাংলা সনের হিসাব ধরে পয়লা বৈশাখ থেকে নতুন বছরের জন্য বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। ইজারা নেওয়ার পর থেকেই তারা বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এবং রজব আলী রাসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইজারার শর্ত অনুযায়ী নদীর তীর থেকে দেড় কিলোমিটার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন করার শর্তে তাদের বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছিল। অথচ তারা তীরের এক কিলোমিটারের ভেতরেই বালু উত্তোলন করছিলেন। এমন কি সোনাইকান্দি এলাকায় নতুন নির্মিত পদ্মার তীর রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটারের মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এছাড়াও সোনাইকান্দি এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নতুন নির্মাত বাঁধের দুইটি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে থেকে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও নবগঙ্গা ও সোনাইকানি দুইটি বালুমহাল ইজারাদার পদ্মার একাংশের জলধারায় বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত বালুমহালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি দেখতে পান যে নদী তীরের কাছাকাটি এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইজারাদার রজব আলী ও আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। একই সঙ্গে ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

সহকারী কমিশনার আবুল হায়াত বলেন, বালুমহাল ইজারার শর্ত অনুযায়ী তাদের পদ্মা নদীর তীর থেকে দেড়-দুই কিলোমিটার বাইরে গিয়ে বালু তোলার কথা ছিল। তারা সেটা লঙ্ঘন করে বালু উত্তোলন করছিলেন। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছে এবং ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে