করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খবরের শিরোনামে রাজনীতি
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : হঠাৎ মুক্তি পেতে যাচ্ছেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মানবিক কারণে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শর্ত সাপেক্ষে সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বিশ^জুড়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে খবরের শিরোনামে রাজনীতি উঠেছে এসেছে। খালেদার সাজা স্থগিতের ঘোষণার পর গণমাধ্যমের শিনোনাম ছিল এটিই।
জিয়া অরফানেজ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরে সাজা প্রাপ্ত হন, জিয়া চ্যারিটেবল মামলায়ও। এ দুমামলায় মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে দুবছরেরও বেশি কারাগারে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী। পরে বেশ কবার হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে জামিন চেয়েও ব্যর্থ হন খালেদা জিয়া। চলতি মাসের শুরুতে তার মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন তার স্বজনরা। যা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে শুরু হয় আলোচনা।
পুরো দেশ যখন করোনা আতঙ্কে প্রায় স্থবির। তখন মঙ্গলবা হঠাৎ করেই গুলশানের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে চমক দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জানান, ৬ মাসের জন্য সাজা স্থগিতের সুপারিশ করা হয়েছে খালেদা জিয়ার। যার পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
মুক্তি পেলে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যেতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্ন আইনমন্ত্রীর সাফ জবাব, নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা থেকেই নিতে হবে তাকে। এখন দেশের বাইরে যাওয়া তার জন্য সুইসাইডাল হবে। থাকতে হবে দেশে।
এ বিষয়ে টেলিফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সুপারিশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই নেয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপির দীর্ঘ দিনের দাবী। শর্ত সাপেক্ষে এই মুক্তি কিছুটা হলেও জনগণের মধ্যে স্বস্তি এনেছে।
আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবর শোনার বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ভিড় জমান বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে খালেদা জিয়ার মুক্তি পেতে আরও দুয়েকদিন লাগতে পারে।