রাজশাহী নগর আ.লীগে পদ চান না এমপি ফারুক চৌধুরী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০; সময়: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ |
রাজশাহী নগর আ.লীগে পদ চান না এমপি ফারুক চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চান না বলে জানিয়েছেন জেলার সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। সোমবার স্থানীয় একটি দৈনিকে সাক্ষাতকারে এ কথা জনিয়েছেন তিনি।

আসন্ন ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এনিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় এবারের সম্মেলনে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ সভাপতি হতে চান রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। তবে তার সভাপতির পদ প্রত্যাশীর খবর সত্য নয় দাবি করে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক সানশাইনে সাক্ষাতকার দেন।

সাক্ষতকারে ফারুক চৌধুরী বলেছেন, তিনি কখনোই নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চান নি। এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা। তিনি বলেন, আমি টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভূমিদখল করি না; চোরাকারবারের সাথে জড়িত না। খারাপ বা অন্যায় কাজ কোনদিন করি নাই। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভাঙিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করি না। কিন্তু অনেক নেতৃত্বেরই এসব দোষ আছে, যেটি আমরা জানি। ফলে তারাই ভীত হয়ে সব সময় আমার নামে বাজে খবর করাতে ও প্রচারে ব্যস্ত থাকে। তারই প্রতিফলন পত্রিকার খবরে ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন এই সাংসদ।

তিনি আরও বলেছেন, আমি নিজে মাননীয় সভানেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে আর সভাপতিত্ব করতে চাই নাই। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে ধরে নেয়া যেতে পারে, আমি নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চাই না বা চাইব না। মহানগরের চায়তে জেলা অন্তত পাঁচগুন বড় একটা সংগঠন, আমি সেই সংগঠন ছেড়ে এসেছি। তাহলে এখানে আমি নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কেন হতে চাইব?

সাংসদ ফারুক চৌধুরী বলেন, আমরা মুখ খুললে অনেকের টেকা মুশকিল হয়ে যাবে। সবার মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু ফারুক চৌধুরীর মুখ বন্ধ হবে না। একবারে পরিষ্কার বলে দিলাম। কারণ ফারুক চৌধুরী কোন কিছুতে ভাগ খায় না। সেজন্য ফারুক চৌধুরীর মুখ বন্ধ হবে না। এরপরে আবারও যদি এরকম কিছু হয়, তাহলে আমি সমস্ত কিছু জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিতভাবে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে দেব। কার ঝোলাতে কি আছে? কাদের একটা সাইকেল ছিল না, এখন গাড়ি হয়ে গেছে, বাড়ি হয়ে গেছে, কত টাকা ইনকাম, কে কতটাকা ট্যাক্স দেয়, কে কত কালো টাকা সাদা করেছে, সব বলে দেব বলেন রাজশাহী-১ আসনের তিনবারের এই সাংসদ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে