ইভিএম নিয়ে ব্যাপক সরব বিএনপি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২০; সময়: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ |
ইভিএম নিয়ে ব্যাপক সরব বিএনপি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মাঠে কোনো কর্মসূচি না থাকলেও আলোচনার টেবিলে ইভিএম নিয়ে ব্যাপক সরব বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গোলটেবিল থেকে ইভিএমকে প্রতিহত করে সরকারের পতনের ঘোষণাও দিচ্ছেন।

শুক্রবার শুধু জাতীয় প্রেসক্লাবেই ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ৪টি অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আয়োজনে নির্বাচনে আস্থাহীনতা ও ইভিএমের ব্যবহার: বর্তমান প্রেক্ষাপট বিষয়ক গোলটেবিলে যোগ দেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানে ইভিএমের জটিলতাসহ বিভিন্ন দেশের সমীক্ষা তুলে ধরেন বিএনপিপন্থী গবেষকরা।

অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, হেরে যাওয়ার জন্য নয়, জয়ের জন্যই বিএনপি সিটি নির্বাচনে মাঠে থাকবে। সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। এই জোয়ার অব্যাহত থাকবে।

ফখরুল বলেন, ছোট ছোট নানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বড় আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। হঠাৎ করে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে বিপথে ফেলার সুযোগ নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতি মুহূর্তেই আমরা আন্দোলনে আছি। আমরা যখন কোর্টে যাই তখনও আন্দোলন করি। আমরা যখন মিটিং-মিছিলে যাই তখনও আন্দোলন করি। সিটি নির্বাচনে যাওয়াটাও আমাদের আন্দোলনের অংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভুলত্রুটি আমাদের থাকতে পারে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সফলতার পথে যেতে। বিশ্বে রাজনৈতিক যে পরিবর্তন এসেছে আমাদের তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সফল হবো।

অন্যদিকে অনুষ্ঠানে বিএনপিকে কঠোর আন্দোলনে নামার পরামর্শ দেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, যতই চিৎকার করেন, যাই করেন ধানের শীষ জিততে পারবে না।

মান্না বলেন, ৩০ তারিখের ভোট কোনো ভোট নয়। ওই ভোটে ধানের শীষ জিততে পারবেন না। ওরা জিততে দেবে না। যদি ভোট হতো তাহলে নৌকারই খবর থাকতো না। এখনও, আজ অবধি করতে দেবে না তারা। সেজন্য সমস্ত রকম বুদ্ধি-টুদ্ধি করেছে।

ইভিএমকে গজব আখ্যা দিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক বলেন, ইভিএম যে একটা গজব এটা আমরা সবাই বুঝি। মানুষ যা তৈরি করে তা নিজের জন্য তৈরি করে। নির্বাচন কমিশন যেটা আমদানি করেছেন ওটা ওদের নিজেদের জন্যেই, ওরা ওটাই করবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যে ডাকাতি হয়েছে এটা এই সরকারের এক রকম কলংকের টিকা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, আওয়ামী লীগ দেশের জাতীয় স্বার্থকে ধুলিস্যাৎ করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর রাতে সব ভোট ডাকাতি করে সরকার গঠন করেছে। তাই এ সরকার ভোট ডাকাতির সরকার। যার কারণে সমাজে বহু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ ও ক্যাসিনোর মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন সিটি নির্বাচনে মেশিনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করার জন্য ইভিএম ব্যবস্থা চালু করেছে। এখনো সময় আছে, ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। বারবার যদি জনগণের অধিকার হরণ করা হয়, তাহলে জনগণ কিন্তু গণআন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবে। ’৯০-এর মতো গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে