মুজিব শতবর্ষে
তুমি নেই, অথচ তুমি আছো
স্বদেশের ঘরে ঘরে- হৃদয়ে
আঙ্গিনায়- পথে নদী খালে সবুজ
প্রান্তরে বাংলার, গ্রহ-নক্ষত্র-সূর্যে
কিংবা মহাকাশে-কোথায় নেই
বলো মহামানব তুমি কালজয়ী,
মহাকালজয়ী!
শত কষ্টের দুঃখ ছুঁয়ে বাঙালির বরপুত্র তুমি
পরাধীনতার শৃঙখল ছিঁড়ে;
স্বাধীনতার সূর্যোদয় এনে দিলে
বাংলার আকাশে, বাতাসে ছড়িয়ে
দিলে মুক্তির স্বাদ।
স্বাধীন দেশে পাক-বাহিনীর ধাঁচে
আবারো গদি কাড়ার স্বৈর প্রতিযোগিতা
কী নির্মম, কী নিষ্ঠুর!
অস্থির আবারো স্বদেশের হৃদয়
রাস্তায় দীর্ঘ হয় মৃত্যুর মিছিল-
বিচারের নামে প্রহসন চলে দেড়
কিংবা আরো একযুগ ধরে,
হতবাক বিশ্ব বিবেক।
অতঃপর রাজনীতিক ছাত্র-জনতা
আবারো একদিন তোমার দেখানো
পথে রাজপথে নেমে আসে, উত্তাপ
ছড়ায় স্বদেশের ধ্বমনীতে, উত্তাল
হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, নগর-বন্দর
আর সবুজ প্রান্তর মুখর স্লোগানে
মিছিলে-আরো এক
একাত্তর, যেন মুক্তিযুদ্ধের।
বিপর্যয় তবু বার বার ফিরে আসে,
মানবতার অবক্ষয় জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ
গ্রেনেড বোমা সন্ত্রাস আছড়ে পড়ে
বাংলার বুকে, বিকৃত ইতিহাসের পথে
হেঁটে হেঁটে খলনায়করাই সামনে দাঁড়ায়
বার বার, আর্জেস গ্রেনেড রক্ত ঝরায়
ইতিহাসের নতুন পৃষ্ঠায়।
তব জন্ম শতবর্ষে আজ নতুন করে
কড়া নাড়ে চেতনার বন্ধ দুয়ারে,
টের পায় অস্তিত্ব তোমার প্রজন্মের
সন্তান।
শপথ আজ, সৃষ্টি তোমার ছড়িয়ে দেবে
ওরা বিশ্ব ব্যাপী; দর্শন রাজনীতি আশা
প্রত্যাশা স্বপ্ন ও ভালোবাসা, অফুরান
কীর্তি তোমার বুকে নিয়ে- হানা হানি
সব ভুলে প্রজন্মের সন্তান, ওরাই গড়ে
দেবে স্বপ্নের দেশ, সোনার বাংলা তোমার।
সংক্ষিপ্ত
লেখক : মাহবুব দুলাল, কবি ও সাংবাদিক