পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত ‘লকডাউন’

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২০; সময়: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ |
পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত ‘লকডাউন’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও তিন দিন। এর আগে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ রাখার যে ঘোষণা সরকার দিয়েছিল, তা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জানিয়েছেন।

রোবাবর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগে ১১ তারিখ পর্যন্ত ছুটি ছিল। নতুন করে ১২ ও ১৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল আগে থেকেই নির্বাহী আদেশে ছুটি (বাংলা নববর্ষের) ছিল, সেই ছুটিও এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ, নতুন করে ‘ছুটি’ বাড়ায় এখন তা বলবৎ থাকবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী মোকাবেলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধে এই ছুটি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, জরুরি পরিসেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।

কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।

জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে জানিয়ে ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস সার্ভিস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ রেখে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই সঙ্গে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় বিশ্বের আরও অনেক দেশের মত বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে, যাকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘লকডাউন’ হিসেবে।

সরকারি ভাষায় সেই ‘ছুটির’ মেয়াদ এরপর বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। রোববার নতুন করে তৃতীয় দফায় আরও তিনদিন তা বাড়ানো হল। এর আগে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।

অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণার পর ২৪ মার্চ আরেক ঘোষণায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ছুটি আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রোজার ছুটির সঙ্গে এই ছুটি মিলিয়ে ঈদের পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সূত্র- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে