ছুটির সময় বাড়ছে
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার। এছাড়া সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ এপ্রিল বন্ধ দেয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার মনে করছে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ছুটি ভালো ফল দিয়েছে। গত দুদিন নতুন করে কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। ৪ তারিখ আসতে আরও কয়েকদিন বাকি এর মধ্যে পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
রোববার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে জানিয়েছেন, বাধ্যতামূলক ছুটি শেষে পরিস্থিতি বুঝে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ সফলভাবে সীমিত রাখা গেছে। ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর যখন জনগণ গ্রাম থেকে ফিরবেন তখন যাতে আবারো করোনা সংক্রমণ না ঘটে, সে বিষয়ে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় ছুটি হয়তো বাড়তে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো আমরা জানি না।’
তবে ছুটি বাড়ানো হলে তা ১১ এপ্রিল কিংবা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের আবেদন থাকবে ছুটি আরও কিছু দিন বাড়ানো হোক। এতে আমরা আরও নিশ্চিত হতে পারব, আরও ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারব।’
এর আগে ২৩ মার্চ সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। এর মধ্যে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পাঁচ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আর ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মোট ১০ দিনের ছুটিতে থাকবে সারা দেশ।