শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে পিছিয়ে বাংলাদেশ
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শিশুদের স্বাস্থ্য, পরিবেশ আর ভবিষ্যৎ রক্ষায় বিশ্বের কোনও দেশই যথেষ্ট প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশও পিছিয়ে আছে। এই তালিকায় বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৩তম।
শিশু ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা ৩টি আন্তর্জাতিক সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও বা হু), ইউনিসেফ এবং দ্য লেনসেট গঠিত একটি কমিশনের ‘এ ফিউচার ফর দ্য ওয়ার্ল্ড চিলড্রেন?’ (শিশুদের জন্য একটি ভবিষ্যৎ?) শিরোনামের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০ জনেরও বেশি শিশু-কিশোর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
এই প্রতিবেদনে দুইটি দিক নিয়ে গবেষণা করা। বেঁচে থাকার সুযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পুষ্টিসংক্রান্ত দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে একটি এবং পরিবেশগত টেকসই অবস্থার উপর ভিত্তি করে মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের মাত্রাকে বিবেচনায় নিয়ে আরেকটি তালিকা করো হয়েছে।
প্রথমটিতে শীর্ষ ৫ মধ্যে আছে নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ড। অন্যদিক তলানিতে আছে সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিক, চাদ, সোমালিয়া, নাইজার আর মালি। এই তালিকার ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৩তম।
এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশ তলানিতে, নেপালের পরই বাংলাদেশের অবস্থান (৭ম)। যেখানে শ্রীলঙ্কা ৬৮তম (১ম), মালদ্বীপ ৭২তম (২য়), ভূটান ১১৩তম (৩য়), ভারত ১৩১তম (৫ম), পাকিস্তান ১৪০তম (৬ষ্ট) এবং নেপাল রয়েছেন ১৪৪তম (৮ম) অবস্থানে।
আর দ্বিতীয় সূচকে মাথাপিছু সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণকারীদের মধ্যে শীর্ষে আছে বুরুন্ডি, চাদ, সোমালিয়া, কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং মালাওয়ি। মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করা দেশের মধ্যে ওপরে রয়েছে কাতার, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। বাংলাদেশ রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত অবক্ষয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের প্রতিটি দেশের শিশু-কিশোরের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। শোষণমূলক বিপণনের চর্চায় ফাস্ট ফুড, মিষ্টি পানীয়, অ্যালকোহল আর তামাকের অভ্যাস গড়ে উঠছে শিশুদের মধ্যে, যা সংকটে ফেলছে তাদের স্বাস্থ্যকে।
কমিশনের সহকারী প্রধান নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক বলেন, ‘নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করা ৫ বছরের কম বয়সি ২৫ কোটি শিশু তাদের সম্ভাবনা অনুযায়ী বেড়ে না ওঠার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিপদ থেকে মুক্ত নয় ধনী দেশের শিশুরাও।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আর বাণিজ্য চাপের কারণে বিশ্বজুড়েই শিশুরা টিকে থাকার হুমকিতে রয়েছে। সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের জন্য শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর আহবান জানান তিনি।