‘ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২০; সময়: ১২:৫১ অপরাহ্ণ |
‘ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। এটি চালুর ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।’

তিনি আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশকে আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকল ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। তৃণমূলের কথা মাথায় রেখেই প্রতিটি উন্নয়নের কাজ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে জাল পাসপোর্টের সমস্যা যেমন অন্যদিকে প্রবাসীসহ বিদেশগামীদের হয়রানির শিকার হতে হবে না। তাদের যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর আমরা বাংলাদেশ জনগণের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) শুরু করি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে আগামী ১০ বছরের জন্য আমরা ই-পাসপোর্ট প্রদানের পদক্ষেপ নিয়েছি। এজন্য আমি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই কাজ সম্ভব হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যে প্রকল্প ই-পাসপোর্টের জন্য গ্রহণ করেছি তাতে মনে করি, বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। কারণ আমরা যে পাসপোর্ট দিতে যাচ্ছি, সেটি বায়োমেট্রিক। এতে এম্বেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ থাকবে। সেখানে যে পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন তার বায়োগ্রাফি ও বায়োমেট্রিক অর্থাৎ তার ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং চোখের কর্নিয়া থাকবে। কাজেই আর মানুষ ধোঁকায় পড়বে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ এই আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন পাসপোর্ট গ্রহণ করেছে। প্রায় ১১৮টি দেশে এটি চালু হয়ে গেছে। কাজেই বাংলাদেশ হলো ১১৯তম দেশ। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালু করতে সক্ষম হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫’র পর থেকেই আমাদের ইচ্ছে ছিল জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। শোককে বুকে নিয়ে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়েছি। ২১ বছর পর সরকার গঠন করেছি। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশকে সার্বিক ভাবে উন্নতি করতে। বাংলাদেশের জনগণকে সেবা দিতে। আমরা একের পর এক সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছি। প্রথমবার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ উন্নতি করছিলো। স্বাক্ষরতার হার আমরা বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে পূর্বের কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে গেছি। সেই সময় নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম ‘বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ’। যার ধারাবাহিকতায় আজকের আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশ যেন গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে উচ্চমর্যাদায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে