রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান অনুমোদনের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২০; সময়: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ |
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান অনুমোদনের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণের জটিলতায় ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্যোগ বারবার বাধাগ্রস্ত হয়। তবে ওই জটিল পরিস্থিতির অবসান হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য স্থান নির্ধারণের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং তা অনুমোদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নগরীর বড়বনগ্রাম, বারইপাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজায় ৬৭ দশমিক ৭৮২ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারণ করে গত জুন মাসের শেষার্ধে অনুমোদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সূত্র জানায়, নির্ধারিত জমির ২১ দশমিক ৪৫১৫ একর রাজশাহী নগরীতে এবং নগর এলাকার বাইরে পবা উপজেলায় ৪৬ দশমিক ৩৩০৫ একর জমি রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেওয়ার পর রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে।

ওই সূত্রমতে, জমি অধিগ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না। এলাকার বাসিন্দা ও জমির মালিকদের সাথে আলোচনা করেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-এর দায়িত্ব পালন করছেন ডা. মাসুম হাবিব। আর আট ফ্যাকালটিতে ৫ জনকে ডিনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরা হলেন, রামেক অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ রামেক সাবেক উপাধ্যক্ষ ডা. বুলবুল হাসান, ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান, ডা.একেএম আসাফদ্দৌলা, ডা. জায়েদুল হক ও ডা. রবিউল ইসলাম। গত সিন্ডিকেট সভায় আট ফ্যাকালটিতে মোট ৫ জনকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সূত্র মতে, গত বছর রামেবির মূল ক্যাম্পাস কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণেই কার্যক্রমেই আটকে ছিল এতদিন। ১৬ নভেম্বর ২০১৯ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নগরীর নওদাপাড়ায় রামেবির জন্য নির্ধারিত জমি দেখতে এসে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এরপর তিনি অন্য জায়গায় জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। আর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন চিকিৎসক নেতা ও সিন্ডিকেট সদস্যরা। তবে এবার তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকা পার হয়ে বড় বনগ্রাম, বারইপাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজায় স্থান নির্ধারণ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

রামেবি সিন্ডিকেটের সদস্য ডা. নওশাদ আলী জানান, প্রথমে নগরীর নওদাপাড়ায় যে জমিটি দেখা হয়েছিল সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকচ করে দিয়েছিলো। এর ফলে কার্যক্রম অনেকটা পিছিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, বর্তমানে রামেবির নতুন জমি দেখা হয়েছে নগরীর সিটিহাট এলাকার দিকে। প্রায় ৬৮ একর জমির প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ে।

এ বিষয়ে উপাচার্য ডা. মাসুম হাবিবকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

  • 287
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে