আক্কেলপুরে আইসোলেশন থেকে পালিয়েছে ২ সন্দেহভাজন

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২০; সময়: ৮:৫২ অপরাহ্ণ |
আক্কেলপুরে আইসোলেশন থেকে পালিয়েছে ২ সন্দেহভাজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, আক্কেলপুর : জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ১০৪, অতিথি শালায় কোয়ারেন্টাইনে-১৮, অতিথিশালার আইসোলেশনে ৪ জন ছিলেন। এদের মধ্যে ২জন পালিয়েছেন। হোম কোয়ারেন্টাইন সময় পার করে বাড়ি ফিরেছে ৯৫ জন।

উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারা বিশ্বে চলমান প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস মোকাবেলার অংশ হিসেবে আক্কেলপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচী অব্যহত ভাবে পালন করে চলেছেন।

চলতি মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকিউল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ রাধেশ্যম আগরওয়ালা, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ওবায়েদ নিজেদের দপ্তরের সকলকে নিয়ে শুরু করেছিলেন রাষ্ট্র ঘোষিত হোম কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি।

এতে বলা হয়েছিল বিদেশ ফেরৎ সকলকে কমপক্ষে ১৪ দিন নিজ ঘরে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে বসবাস করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। অনেকে সে আদেশ ও নির্দেশকে উপেক্ষা করে পরিবার পরিজনসহ তারা আত্বীয় স্বজন ও জনসমাগম স্থানে অবাধ বিচরণ শুরু করেন।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হুইপ ও আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন আক্কেলপুর- ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলার মধ্যেবর্তী আক্কেলপুরের গোপিনাথপুরে সদ্য নির্মিত ইন্সটিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজি (আইএইচটি) ভবনকে অতিথিশালা নামকরণ করে হোম কোয়ারান্টাইন হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।

এখন এ অতিথি শালায় বিদেশ ফেরৎ ও প্রবাসীদের সংস্পর্শে আশায় ১৮ জন হোম কোয়ারায়েন্টাইনে ও ৪ জন আইসোলেশনে অবস্থান করছিলেন। এদের মধ্যে ক্ষেতলাল উপজেলার আইমাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান ২য় বারের মতো ও একই থানা এলাকার মাজিয়াস্ল গ্রামের ছামচুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেন নামের ২যুবক সোমবার রাতে অতিথিশালা থেকে পালিয়ে গেছেন।

এ ছাড়া আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের আইসোলেশনে এক জন এবং নিজ নিজ বাড়িতে ১০৪ জনকে হোম কোরায়েন্টাইনে থাকলেও তাদের মধ্যে ৯৫ জনের সময় অতিবাহিত হয়েছে এ পর্যন্ত আক্কেলপুরে কোন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী সনাক্ত করা যায়নি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ এবং বগুড়া সেনানিবাসের ৬ বীর কোম্পানীর ক্যাপ্টেন সায়েম-এর নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী এ উপজেলায় প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গণসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে