সেই প্রমোদতরীর দুই যাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০; সময়: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ |
সেই প্রমোদতরীর দুই যাত্রীর মৃত্যু

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জাপানের প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের করোনাভাইরাস আক্রান্ত দুই যাত্রী মারা গেছেন। দীর্ঘ দু সপ্তাহ ধরে জাহাজে অবরুদ্ধ থাকার পর বুধবার আরও অনেকের সঙ্গে ছাড়া পেয়েছিলেন ওই দুইজন। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

বৃহস্পতিবার জাপানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম এনএইচকে’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ‘দ্য স্ট্রেইটস টাইমস’।

জাপানের ইয়োকোহামায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়া ওই প্রমোদতরী থেকে বুধবার যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। এরপরই ওই দুজনের মারা যাওয়ার খবর সামনে এলো।

চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬২০ জন যাত্রী ও ক্রু ভাইরাস সংক্রমিত হয়, যা চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে একক কোনো জায়গায় ভাইরাস সংক্রমিতদের সবচেয়ে বড় জমায়েত। ফলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে গোটা জাহাজকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।

এক সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এনএইচকে জানায়, ওই জাহজের দুই যাত্রী মারা গেছেন। এদের একজন পুরুষ এবং অন্যজন ৮০ বছর বয়সী এক নারী। জাহাজ থেকে নামিয়ে আনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর রাজধানী টোকিওতে মারা যান ওই দুইজন।

গত বুধবার দফায় দফায় ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। যাত্রীরা নেমেই ইয়োকোহামা বন্দরে থাকা ট্যাক্সিতে করে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যেতে থাকেন। যারা ভাইরাসে আক্রান্ত নয় এবং যাদের মধ্যে কোনো উপসর্গও প্রকাশিত হচ্ছে না, এরকম ৫০০ মানুষের বুধবার ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। আগামী কয়েকদিনে আরো বহু মানুষের ছাড়া পাওয়ার কথা। জাহাজে মোট ৩ হাজার ৭০০ যাত্রী ছিল।

যাদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি কিন্তু তারা সংক্রমণের শিকার মানুষের সাথে কেবিনে ছিলেন – এমন ব্যক্তিদের অতিরিক্ত কোয়ারেন্টিন করা হবে, কাজেই তারা জাহাজ ছেড়ে বের হতে পারবেন না।

ডায়মন্ড প্রিন্সেসে ৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকরা ছিলো। বিবিসির আশঙ্কা, এই যাত্রীরা সারাবিশ্বে ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে