জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে রামেক হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ২ রোগি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২০; সময়: ৪:১২ অপরাহ্ণ |
জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে রামেক হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ২ রোগি

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস আতঙ্কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন দুইজন রোগী। যারা জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগিদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডে রেখে তাদের চিকিৎসাধী দেয়া হচ্ছিল। শনিবার রাতে কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র না নিয়ে তারা চলে গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজন একজন ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন করোনা চিকিৎসক সমন্বয় কমিটির আহবায়ক ডা. আজিজুল হক আজাদ। রামেক হাসপাতলে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে রোববার সকালে তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. আজিজুল হক বলেন, ওই রোগি একজন নার্স। তাকে রাজশাহী সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে স্থাপিত করোনা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শনিবার তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রোববার তার পরীক্ষা করে ফলাফল ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহভাজর রোগিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে নিয়ে ভর্তি হওয়া ১২ জন রোগিকে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শনিবার আটজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।

বাকি চারজনের মধ্যে শনিবার ওই নার্সকে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর তিনজনের মধ্যে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় রোববার আরেকজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি দুইজন শনিবার রাতে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। এদের একজনের যক্ষা রোগে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ ছিল। এর আগে এই হাসপাতালে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে ভর্তি একজন রোগি গত ২ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

এদিকে, গত ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু করা হয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব। শনিবার এই ল্যাবে ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে রাজশাহীর তিনজন ও পাবনার ১৮ জন।

অপরদিকে, রোববার রাজশাহী সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে জানানো হয়, গত মার্চ মাসে রাজশাহীতে বিদেশ থেকে এসেছেন দুই হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয় এক হাজার ৯৮ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩০৬ জন। আর ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৭৯২ জনকে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সর্বশেষ গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮ জনে। এছাড়াও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৯ জন মারা গেলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে