করোনাশঙ্কায় রোগী শূন্য চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নজরুল ইসলাম বাচ্চু, চারঘাট : প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস আতঙ্কে রোগি শূন্য হয়ে পড়েছে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পুরুষ, নারী ও শিশু ওয়ার্ড নিয়ে ৫০ শয্য বিশিষ্ট এই স্বাস্থ কমপ্লেক্সে শনিবার রোগী ভর্তি হয়েছেন মাত্র তিনজন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেলা ১০ ঘটিকায় পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি মাত্র তিনজন। জরুরী বিভাগ ও আউটডোরেও নেয় রোগী। অনেকে চিকিৎসা শেষ করার আগেই আবার করোনা আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় জরুরি বিভাগে ২৫ জন, আউটডোরে মহিলা ৩০ জন ও পুরুষ ২০ জন ও ৫ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু যেখানে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসতো। তবে সাধারন রোগীদের মতো চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভাইরাস আতঙ্কে রয়েছেন।

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা থানাপাড়া গ্রামের একজন বলেন (নাম প্রকাশ না করা শর্তে) আমার সন্তানের বয়স ২ বছর সামান্য ঠান্ডাজনিত কারণে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু চিকিৎসাসেবা না নিয়ে আমাকে চলে যেতে হচ্ছে। তবে ঠান্ডাজনিত সমস্যার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক (আরএমও) ডা: মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা সবার থেকে বেশি হুমকিতে পড়েছি। এখনও সার্জিক্যাল মাস্ক ও গাউনসহ অন্য প্রতিরোধক কোন উপকরণ পাইনি। তবে স্থানীয়ভাবে তৈরি মাস্ক ও এপ্রোন গায়ে দিয়েই করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। সেগুলো আসলে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় আমরা সবচেয়ে বেশি হুমকিতে পড়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আশিকুর রহমান বলেন, ডাক্তার, নার্সসহ হাসাপাতালের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী হাসপাতালে রয়েছেন। শিফট অনুযায়ী সকল ডাক্তার ও নার্স চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। তবে ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে ১০ জোড়া পিপিই পেয়েছি এগুলো ডাক্তারদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, করোনা আতঙ্কে ভাইরাস জনিত কারণে বেশিরভাগ রোগী হাসপাতালে আসছেন না। তারা মোবাইল ফোনে প্রয়োজনীয় সেবা নিচ্ছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কি না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চারঘাটে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগী সনাক্ত না হলেও আইসোলেশনের জন্য হাসপাতালে ৪ শয্যাবিশিষ্ট একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।