আ.লীগ-বিএনপির তুমুল সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০; সময়: ৬:৫১ অপরাহ্ণ |
আ.লীগ-বিএনপির তুমুল সংঘর্ষ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে বেশ কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫টার ৪৫ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাকরাইল থেকে মিছিল সহকারে নয়াপল্টনে যায়। এসময় বিএনপির কেন্দ্রী অফিস অতিক্রম করার সময় সেখানে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের লোকেরা ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘তাপস ভাইয়ের সালাম নিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে লাঠিসোঠা নিয়ে বিএনপি অফিসের দিকে ছুটে যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় তাদেরকে পুলিশ বাধা দিলেও তারা বিএনপি অফিসের দিকে ছুটে যায়। পরে পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকদের ধাওয়া দিয়ে বিজয় নগর মোড়ের দিকে পাঠিয়ে দেয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্তু দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা একে অপরকে লক্ষ্য করে ঢিল, ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছে।

প্রসঙ্গত, এবারের সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৭৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উত্তর সিটিতে ওয়ার্ড ছিলো ৫৪টি। ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন ৭ জন। কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থী হয়েছিলেন ৮২ জন। দক্ষিণে ওয়ার্ড ছিলো ৭৫টি।

ঢাকায় ভোটার সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। ঢাকা উত্তর সিটির ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮। এসব কেন্দ্রে ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিলো ৭ হাজার ৮৪৬টি। দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র এবং ভোট কক্ষ ছিলো ৬ হাজার ৫৮৮টি।

এবার ঢাকা উত্তরে ৮২৬ আর দক্ষিণে ৭২১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছিলো। এই কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও নজরদারি ছিলো প্রশাসনের।

ভোটকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে ছিলো কড়া নিরাপত্তা। যানবাহন চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিলো। ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।

এছাড়া ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়।

সদরঘাটে নৌ চলাচলও শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিলো। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার ছিলো ভোটের নিরাপত্তায়।

সিটি নির্বাচন এবার নানান দিক থেকে ছিলো আলোচিত। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা সমানতালে প্রচার চালিয়েছেন। ব্যাপক ধরনের ধরপাকড়, হামলার অভিযোগ অন্যবারের চেয়ে কম ছিলো।

বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের গণসংযোগে হামলার ঘটনা ছাড়া বিএনপি থেকেও বড় কোনো অভিযোগ ছিলো না। দুই দলের কর্মীদের মধ্যেই উৎসবের আমেজ ছিলো।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলও বলেছেন, এবারের নির্বাচনে তাদের বড় পাওয়া সবাইকে নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারা।

প্রধান চার প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুল ইসলাম, তাবিথ আউয়াল, শেখ ফজলে নূর তাপস, ইশরাক হোসেন তাদের প্রচারে অকপটে স্বীকার করেছেন, ঢাকার অবস্থা খুব ভালো নয়। তারা ঢাকাকে বাঁচাতে চান।

এছাড়া গত বছরের ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা নিয়ে চারজনই কথা বলেছেন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে তারা মশা নিধনের কার্যক্রমকে নিজেদের ইশতেহারে প্রাধান্য দিয়েছেন।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে